ফের ভারতীয় নেতা ও নারীবাদীদের কটাক্ষ কঙ্গনার। ছবি: সংগৃহীত।
বহু জট কাটিয়ে অবশেষে কিছু দিন আগে মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রনৌতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। কিন্তু ছবি মুক্তির পরেও শান্তি নেই অভিনেত্রীর। ছবির বিরুদ্ধে একের পর এক বিক্ষোভ চলছে। প্রথমে পঞ্জাবে এই ছবির প্রদর্শন নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। গত ১৮ জানুয়ারি লন্ডনের এক প্রেক্ষাগৃহেও খলিস্তানি সমাজকর্মীদের হস্তক্ষেপে ছবির প্রদর্শন বন্ধ হয়। এমনকি প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান তিনি। তার পর থেকেই ইংল্যান্ডেও এই ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কিন্তু এমতাবস্থায় কেন চুপ ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ও নারীবাদীরা? প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কঙ্গনা।
লন্ডনে ‘ইমার্জেন্সি’র প্রদর্শন বন্ধ করায় মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিক বব ব্ল্যাকম্যান। খলিস্তানিদের সমালোচনা করেছেন তিনি। বাক্স্বাধীনতা খণ্ডন করতে চাইলে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে খলিস্তানিদের বিক্ষোভের সমালোচনায় সমাজমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তিনি।
ব্রিটিশ রাজনীতিকের পোস্ট দেখেই কঙ্গনার প্রশ্ন, ভারতের রাজনীতিকরা কী করছেন? অভিনেত্রীর কথায়, “আমার মৌলিক অধিকারের জন্য ব্রিটিশ মন্ত্রী সরব হয়েছেন। কিন্তু ভারতের রাজনীতিক ও নারীবাদীদের মধ্যে পিন পতনের নীরবতা।”
‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তির আগের দিনই শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) বিরোধিতা শুরু করেছিল। ছবি মুক্তি পেলে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াবে বলে দাবি ছিল এই সংগঠনের। পঞ্জাবে এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন সংগঠনের সভাপতি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি ছবির উপর। ছবিতে কঙ্গনা ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিলিন্দ সোমন, শ্রেয়স তলপড়ে।