(বাঁ দিকে) সানি লিওনি। কঙ্গনা রানাউত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে কঙ্গনা রানাউতের নাম ঘোষণা হয়। তার পরেই বিতর্কে জড়ান কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত। বলি অভিনেত্রীকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে কঙ্গনার একটি খোলামেলা পোশাক পরিহিত ছবি দেন সুপ্রিয়া। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘‘মান্ডিতে কী দাম চলছে এখন, একটু বলবেন?’’ কংগ্রেস নেত্রীর পোস্ট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের বক্তব্য, কঙ্গনাকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন সুপ্রিয়া। বলি অভিনেত্রীকে ‘যৌনকর্মী’র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বলেও দাবি করে বিজেপি। এমনিতেই যে কোনও বিষয়ে নিজের মতামত রাখতে পিছপা হন না কঙ্গনা। এ বার তাঁর উদ্দেশে করা এ হেন মন্তব্যে অভিনেত্রী টেনে আনলেন সানি লিওনিকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, ‘‘ যৌনকর্মী মন্তব্যটা একেবারেই অসম্মানের নয়। এটি এমন একটি শব্দ, যা সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য। ভারতে পর্ন তারকারা যে পরিমাণ সম্মান পান, সানি লিওনিকে জিজ্ঞেস করুন, বিশ্বের আর কোনও দেশে তা হয় না।’’
ইতিপূর্বে, ২০২০ সালে অভিনেত্রী ঊর্মিলা মাতণ্ডকর কংগ্রেসের টিকিট পাওয়ার পর কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘‘লোকে ঊর্মিলাকে তাঁর অভিনয়ের জন্য যত না চেনেন, তাঁর থেকে বেশি চেনেন সফট্ পর্ন ছবির নায়িকা হিসেবে। তিনি যদি কংগ্রেসের টিকিট পান, তবে আমি কেন বিজেপির টিকিট পাব না!’’
২০১৯ সালে মুম্বই উত্তর থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়ান ঊর্মিলা। যদিও সে বার ভোটে হেরে যান । তার পরই কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দেন অভিনেত্রী। তবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে এই প্রথম নয়, হামেশাই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন কঙ্গনা। কিন্তু, নিজেকে শুধরে নেওয়ার তেমন কোনও প্রয়াস দেখা যায়নি অভিনেত্রীর কার্যকলাপে।
এ বার কংগ্রেস নেত্রীর পোস্ট নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে কঙ্গনাকে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বলি অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘সম্মাননীয় সুপ্রিয়া দেবী, আমি গত ২০ বছরে বিভিন্ন ধরনের মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছি। গালিগালাজ করার জন্য যৌনকর্মীদের না টানাই ভাল। মর্যাদা সকলেরই প্রাপ্য।’’ বৃহস্পতিবার সুপ্রিয়ার দলও ব্যবস্থা নিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সুপ্রিয়াকে লোকসভা ভোটের প্রার্থিতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কংগ্রেস।