জাহ্নবী এবং অর্জুন
সৎ বোন জাহ্নবী কপূর, খুশি কপূর এবং বাবা বনি কপূরকে নিয়ে অর্জুন কপূর এক সময়ে বলেছিলেন, ‘‘যদি বলি আমরা একটাই পরিবার, সুখী পরিবার, তা হলে মিথ্যে বলা হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন পরিবার। যাঁরা একসঙ্গে বসবাস করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করছি। একসঙ্গে থাকলে ভাল সময় কাটাই। তাও আমরা এক হয়ে উঠিনি। কোনও দিন এই সম্পর্ক ঠিক হবে না।’’ সেই অর্জুনই পরে জানিয়েছিলেন, জাহ্নবী এবং খুশি না থাকলে বাবার সঙ্গে তাঁর ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক কোনও দিন জুড়ত না। অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন দুই পরিবার এক হওয়ার প্রচেষ্টায় আছে। তারই নতুন প্রমাণ অর্জুনকে দেওয়া জাহ্নবীর চিঠি।
অর্জুন একটি ছবি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। যেখানে রংবেরঙের কার্ড দেখা যাচ্ছে। উপরে লেখা, ‘তুমি যখন হারিয়ে যেতে চাও, তখনও তোমাকে ভালবাসব। জেনে রেখো, হারিয়ে গেলেও তোমাকে ঠিক খুঁজে বার করব আমরা। তোমার পাশে আছি। সব সময়ে।’
একই সঙ্গে দ্বিতীয় ছবি দেখে বোঝা গেল, কার্ডের সঙ্গে তাঁর সৎ দাদাকে নানা ধরনের খাবার জিনিস পাঠিয়েছেন ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’। অর্জুন বুঝিয়ে দিলেন, বোনের সঙ্গে ভাগাভাগি করেই সেই কেক, পেস্ট্রিগুলি দিয়ে পেট পুজো করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত অর্জুন এক বার জানিয়েছিলেন, জাহ্নবী যখন তাঁকে ‘অর্জুন ভাইয়া’ বলে ডাকেন, তাঁর ভীষণ অস্বস্তি হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ছোট বোন অংশুলা (মোনা কপূর ও বনি কপূরের কন্যা) যখন আমাকে ‘ভাই’ বলে ডাকে, সেটা একদম অন্য। কিন্তু আমি কোনও দিন ওকে আর খুশিকে বলিনি যে আমাকে দাদা বলে ডাকো, সেটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই এসেছে।’’
বর্ষীয়ান অভিনেতা বনি এবং তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মোনা কপূরের দুই সন্তান অর্জুন এবং অংশুলা। সেই বিয়ে ভেঙে গেলে ১৯৯৬ সালে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি। ১৯৯৭ সালে শ্রীদেবী ও বনির প্রথম কন্যা জাহ্নবীর জন্ম। তার তিন বছর পরে খুশির জন্ম হয়। খুব ছোটবেলায় অর্জুনের বাবা তাঁদের ছেড়ে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছিলেন। সেই নিয়ে স্কুলের বন্ধুদের কাছে কটাক্ষ শুনতে হত। তাই বাবার বিয়ে ও সৎ বোনেদের নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে বলে সাফ জানিয়েছিলেন বলি অভিনেতা।