সেপ্টেম্বরেই জ্যাকলিনকে তলব করল দিল্লি পুলিশ।
২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলার চার্জশিটে নাম জুড়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের নাম। এ মাসের শুরুতেই প্রকাশ্যে আসে এই খবর। এ মাসের শুরুতেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট দায়ের করে ইডি। এপ্রিল মাসে নগদ ১৫ লক্ষ টাকার পাশাপাশি জ্যাকলিনের ৭.২৭ কোটির ফান্ডও ইডির নজরে এসেছিল। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’এর আওতায় এই সম্পদও বেআইনি হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ইডির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৫.৭১ কোটি টাকার যে উপহার সুকেশ চন্দ্রশেখর অভিনেত্রীকে দেন, তা পুরোটাই বেআইনি টাকায় কিনে ছিলেন অভিযুক্ত। ইডির দায়ের করা চার্জশিটটি বিবেচনা করে জ্যাকলিনকে অভিযুক্ত হিসাবে সাব্যস্ত করেছে ‘দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট’।
অন্য দিকে জ্যাকলিনকে ১২ সেপ্টেম্বর আদলতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট-সহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে বিদেশযাত্রার অধিকার। যদিও অভিনেত্রীর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, জ্যাকলিন ষড়যন্ত্রের শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
এর পর মুখ খুললেন জ্যাকলিনও। ইডিকে জোর দিয়ে বললেন, সুকেশের সংস্পর্শে আসার আগেই নিজের আয় থেকে বিনিয়োগ করেছিলেন। ফিক্সড ডিপোজিটে থাকা ৭.২ কোটি টাকার সবটাই তাঁর নিজস্ব সম্পত্তি।