বরাবরই অ্যাকশন ছবি করে চলেছেন নায়ক, সগর্বে ঘোষণা করলেন নিজের ২৫তম ছবি ‘ফাইটার’-এর কথা। — ফাইল চিত্র।
বলিউডের তাঁর চেহারা, ফিটনেস অনেকেরই ঈর্ষার বস্তু। তাঁর দেহসৌষ্ঠব অনেকেরই অনুপ্রেরণা। কিন্তু হৃতিক রোশন কোনও দিনই নায়কসুলভ শরীর তৈরি করতে পারবেন না বলে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। হৃতিকের মেরুদণ্ডে সমস্যা ছিল। চিকিৎসকরা নিরুৎসাহিত করেছিলেন তাঁকে। হৃতিকের প্রথম ছবি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ তৈরি হওয়ার আগেই এমন সাবধানবাণী শুনতে হয়েছিল।
এ সব কথা জানা গেল হৃতিকের গর্বিত পিতা রাকেশ রোশনের কাছ থেকে। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর মঞ্চে অতীত ফিরে দেখলেন অভিনেতা তথা পরিচালক। জানালেন, ২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ তৈরি করার সময় নায়ক হিসাবে কাকে নেওয়া হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল। রাকেশ বলেন, ‘‘অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, এই ছবিতে কোনও নতুন মুখ নিলে ভাল হয়। রোম্যান্টিক ছবি হবে। হৃতিক সামনেই ছিল, ভাবলাম, ওকেই নিই।’’
রাকেশের কথায়, ‘‘ও খুব রোগা ছিল। ডাক্তাররা বলেছিলেন, আকর্ষণীয় চেহারা বানাতে পারবে না হৃতিক, মেরুদণ্ডের সমস্যা নিয়ে নাচতেও পারবে না। চিন্তায় পড়েছিলাম।”
কিন্তু নেতিবাচক কথাবার্তায় ভেঙে পড়েননি হৃতিক। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। মোটা বই নিয়ে শারীরিক কসরত করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে বই থেকে ডাম্বল। এই ভাবে নায়কোচিত চেহারাও বানিয়ে ফেললেন তিনি। বাবার ছবিতেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর।
হৃতিকও বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে সেই অধ্যায়ের কথা। তাঁর কথায়, “আমার শরীর-স্বাস্থ্য অ্যাকশন ছবি করার বা ছবিতে নাচ করার মতো শক্তপোক্ত নয় বলেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। চেহারা এবং ফিটনেসের দিকে নজর দিয়েছিলাম। সীমাবদ্ধতার মধ্যেই কী ভাবে নিজের সেরাটা দিতে হবে, তা শিখেছিলাম। আমি খুশি যে, আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।”
শুধু তা-ই নয়, বরাবরই অ্যাকশন ছবি করে চলেছেন নায়ক। সগর্বে ঘোষণা করলেন নিজের ২৫তম ছবি ‘ফাইটার’-এর কথা। সেখানে আকাশপথে অ্যাকশন করবেন হৃতিক। থাকবেন বায়ুসেনার আধিকারিকের ভূমিকায়। এ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোন হবেন তাঁর নায়িকা। ২০২৪ সালে মুক্তি পাবে ‘ফাইটার’।