এষা দেওল এবং ভরত তখতানি। ছবি: সংগৃহীত।
হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রর বড় কন্যা এষা দেওলের সংসার ভাঙছে। গত মাসের শেষের দিকে দাম্পত্য সমাপ্তির খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এষা এবং তাঁর স্বামী হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানি। এই খবরে অবাক হয়েছেন অনুরাগীরা। ১২ বছরের দাম্পত্য দু’জনের। এক যুগের যৌথযাপনে দু’জনে ভাল নেই, তেমন কোনও ইঙ্গিত এর আগে প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এষা এবং ভরত যে এই প্রথম বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন তা নয়, বিয়ের আগেও প্রেমপর্ব চলাকালীন বিচ্ছেদ হয়েছিল দু’জনের।
২০১২ সালে এষা এবং ভরত বিয়ে করেন। বিয়ের আগে বহু দিনের প্রেমের সম্পর্ক দু’জনের। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই প্রেম দু’জনের। দু’জনের স্কুল এক, ক্লাসও। স্কুলে নাকি প্রায়ই ঝগড়া হত দু’জনের। একটি সাক্ষাৎকারে এষা এবং ভরত নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। এক বার তো ঝগড়া এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে সেই বার ঝগড়া স্কুল চত্বরে হয়নি। হয়েছিল ভরতের গাড়ির মধ্যে।
এষা জানিয়েছিলেন, একটি ছুটির দিনে ভরত তাঁকে নিয়ে ‘লং ড্রাইভ’-এ গিয়েছিল। গাড়িতে ভরত এষার হাত ধরার চেষ্টা করেছিলেন। ভরতের এমন আচরণে এষা রেগে যান। হাত ছাড়িয়ে নিয়ে এষা নাকি বলেছিলেন, ‘‘তুমি আমার হাত ধরো কোন সাহসে?’’ সেই মুহূর্তে এষা গাড়ি থেকে নেমে যান। পরের দিন স্কুলে ভরত কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এষা পণ করেছিলেন, কথা বলবেন না। অনেক দিন ভরতের ফোন ধরেননি, মেসেজের উত্তরও দেননি। তার পরে অবশ্য সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনার অনেক বছর পর ভরত বরবেশে এষার সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘এ বার হাত ধরতে পারি তো?’’