Satish Kaushik

অ্যাম্বুল্যান্সে সতীশের নিথর দেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অনুপম

ময়নাতদন্ত শেষে সতীশের দেহ মুম্বইয়ে পৌঁছনোর আগে থেকেই তাঁর পরিবারের পাশে ছিলেন অনুপম। তবে ভারসোভা মহাশ্মশানে সতীশের শেষকৃত্যের সময় তাঁকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ০৯:১৯
Emotional Anupam Kher wipes his tears as he sits next to Satish Kaushik\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s body

৮ মার্চ সতীশের মৃত্যুসংবাদ ভাগ করে নিয়ে টুইট করেছিলেন অনুপম। জানান, প্রিয় বন্ধুকে এ ভাবে হারাবেন, কল্পনাও করতে পারেননি। ছবি—ইনস্টাগ্রাম

সতীশ কৌশিকের নিথর দেহ অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামানো হতেই নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না অনুপম খের। বন্ধুকে চিরনিদ্রায় দেখে হাপুস নয়নে কেঁদেই চললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। ৪৫ বছরের মজবুত হৃদয়ের সেতু হঠাৎ এক রাতে ভেঙে পড়বে, কল্পনাও করতে পারেননি অনুপম। ময়নাতদন্ত শেষে সতীশের দেহ মুম্বইয়ে পৌঁছনোর আগে থেকেই তাঁর পরিবারের পাশে ছিলেন অনুপম। তবে ভারসোভা মহাশ্মশানে সতীশের শেষকৃত্যের সময় তাঁকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো ঘুরছে নেটদুনিয়ায়।

বুধবার দিল্লিতে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন সতীশ। রাতে হঠাৎ বুকে অস্বস্তি শুরু হয়। তার পর যন্ত্রণা। সে সময় বন্ধুকে ব্যাপারটা জানাতে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা দেওয়া হয়। যদিও পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র অভিনেতা।

Advertisement

কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করতেন সতীশ। বিভিন্ন সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি কয়েক দশক ধরে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। শেষ অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাউত পরিচালিত ‘ইমার্জেন্সি’তে। স্বাধীনতার সময়কার ঐতিহাসিক চরিত্র জগজীবন রামের ভূমিকায় এই ছবিতেই শেষ দেখা যাবে তাঁকে। সতীশের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। তার মধ্যে চোখের জল মুছে অনুপম বললেন, “সতীশের কষ্ট হচ্ছিল। গাড়িচালককে বলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু যাওয়ার পথেই রাত ১টা নাগাদ হার্ট অ্যাটাক হয় ওর।”

৮ মার্চ সতীশের মৃত্যুসংবাদ ভাগ করে নিয়ে টুইট করেছিলেন অনুপম। জানান, প্রিয় বন্ধুকে এ ভাবে হারাবেন, কল্পনাও করতে পারেননি। লিখেছিলেন, “আমি জানি, মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি প্রিয় বন্ধু সতীশকে নিয়ে আমায় লিখতে হবে। ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে হঠাৎ দাঁড়ি পড়ে গেল। আমার জীবন কখনও আগের মতো হবে না সতীশ, তুমি নেই তাই সব বদলে গেল। তোমার আত্মার শান্তি হোক।”

Advertisement
আরও পড়ুন