Irrfan Khan

ইরফানের মতো আর কেউ পারবে না,বন্ধুর মৃত্যু কোন প্রভাব ফেলেছে পরিচালক তিগমাংশুর জীবনে?

“এটা আমার প্রতিবন্ধকতা নয়। আমি জানি আমি লিখতে পারি, কিন্তু অভিনেতারা সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না”, বললেন তিগমাংশু।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪০
Image of Irrfan Khan and Tigmanshu Dhulia

ইরফান খান ও পরিচালক তিগমাংশু ধুলিয়া (ডান দিকে) একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। ছবি: সংগৃহীত।

ইরফান খানের অভাব তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। ভাল কোনও চিত্রনাট্য যেন আর লিখতেই পারছেন না তিগমাংশু ধুলিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক দাবি করেছেন, নতুন অভিনেতারা ইরফানের মতো অভিনয় করতেই পারবেন না। এই ভাবনা থেকেই কোনও দৃশ্যকে মনের মতো রূপ দিতেই পারেন না তিনি।

Advertisement

ইরফান এবং তিগমাংশু দীর্ঘ দিনের বন্ধু। দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তাঁরা। তার পর সেই জুটি সমৃদ্ধ করেছে বলিউডকেও। ২০০৩ সালে তাঁর ‘হাসিল’ ছবিতে দেখা যায় ইরফানকে। এর পর ‘পান সিংহ তোমর’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘চরস’-এর মতো ছবিতে মনে রাখার মতো অভিনয় করেছেন ইরফান।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিগমাংশু বলেছেন, তিনি আর ভাল চিত্রনাট্য লিখতেই পারেন না। সব সময় ইরফানের অভাব অনুভব করেন। তাঁর লেখালিখির উপর ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলেছে ইরফানের মৃত্যু। পরিচালকের কথায়, “ইরফান থাকলে আমি আর একটু ভাল লেখালিখি করতে পারতাম। যে কোনও জটিল দৃশ্য তৈরি করে ফেলতে পারতাম, জানতাম ইরফান ঠিক সেটাকে বাস্তবায়িত করবে। চরিত্র বা পরিস্থিতিকে জটিলতর করে ফেলতে পারতাম। এখন পারি না। এটা আমার প্রতিবন্ধকতা নয়। আমি জানি আমি লিখতে পারি, কিন্তু অভিনেতারা সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না।”

বন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর লেখালিখি অনেকখানি বদলে গিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিগমাংশু। তিনি বলেন, “শুধু লেখালিখিই নয়, ওঁর মৃত্যু আমার জীবনেও অনেকখানি প্রভাব ফেলেছে। ইরফান আমার বন্ধু ছিল।” কাজের দুনিয়ায় এই প্রকৃত বন্ধুত্বের কথাও বলেছেন তিগমাংশু। তাঁর কথায়, “ভাল বন্ধু থাকা খুব প্রয়োজন, কারণ এখানে তো মন খুলে কথা বলার জায়গা নেই। এখানে সকলেই কোনও না কোনও সময় দুর্বল হয়ে পড়েন। আর সেই দুর্বলতা বাইরে প্রকাশ পেলেই অন্য কেউ তার সুযোগ নেবে। কার সঙ্গে কথা বলবেন তখন? সব কথা তো স্ত্রীর পক্ষে অনুভব করাও সম্ভব নয়।”

Advertisement
আরও পড়ুন