Yalini Chakraborty's Birthday

ইয়ালিনির জন্মদিনে ইস্কন থেকে সাধুরা আসছেন, দেব মূর্তিকে ফুল ছড়িয়ে স্নান করানো হবে

দেখতে দেখতে ইয়ালিনি চক্রবর্তীর এক বছর। সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের জন্মের সময় থেকে বড় হওয়া ধরে রেখেছেন বাবা রাজ। মেয়ের জন্মদিনে রাজ কলম ধরলেন আনন্দবাজার অনলাইনে।

Advertisement
রাজ চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১১
রাজ চক্রবর্তীর কোলে কন্যা ইয়ালিনি।

রাজ চক্রবর্তীর কোলে কন্যা ইয়ালিনি। ছবি: ফেসবুক।

পিতৃমুখী কন্যা সুখী, বলছেন সকলে। মেয়েকে শুভশ্রী কত করে ‘মা’ ডাকতে শেখাচ্ছে। ইয়ালিনির মুখে কেবলই ‘বাবা’! অবশ্যই মজা লাগে, ভালও লাগে। এও জানি, শুভশ্রীর মতো দেখতে হলেও আমার সন্তানেরা সুখি হবে। সেই প্রার্থনা জানাতেই আমাদের বাড়িতে আজ পুষ্প অভিষেক। পুরোটাই হচ্ছে ইউভান-ইয়ালিনির মায়ের তত্ত্বাবধানে। আমাদের বাড়িতে যে কোনও শুভ উদ্‌যাপন মানেই এই বিশেষ আয়োজন। ইস্কন থেকে সাধুরা আসেন। জগন্নাথ দেব, রাধা-কৃষ্ণের মূর্তিকে ফুল ছড়িয়ে স্নান করানো হয়। সঙ্গে যজ্ঞ। ফল, মিষ্টি, রকমারি ব্যঞ্জন সাজিয়ে ২১ রকমের ভোগ। সব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আয়োজন করছে আমার অভিনেত্রী স্ত্রী। আমার মেয়ের মা।

Advertisement

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিন। আমি আজ (৩০ নভেম্বর) শুটিং থেকে ছুটি নিয়েছি। শুভশ্রীর ব্যস্ততা দেখার মতো। এক দিন আগে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে ওদের নতুন জামা কিনেছে। হাওড়া হাট থেকে বেছে বেছে ফুল এনেছে। তাই দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়েছে। অনেকে জানতে চেয়েছেন, মেয়ের জন্মদিনের উদ্‌যাপন আগের রাত থেকে শুরু হয়েছে কিনা। ইয়ালিনি তো খুবই ছোট। রাত সাড়ে আটটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। ওর সব কিছু ঘড়ি ধরে করায় শুভ। আমিও চাই না ওকে নিয়ে এখনই এত লাফালাফি হোক। কিছুই তো বোঝে না। বড় হোক, উদ্‌যাপন থাকবেই। আজ আত্মীয়, পরিজন, খুব কাছের কিছু বন্ধুদের নিয়ে পুজোর মধ্যে দিয়েই মেয়ের জন্য মঙ্গলকামনা। নিরামিষ খাওয়াদাওয়া। সন্ধ্যায় হয়তো কেক কাটা হতে পারে। সে সব ওর মায়ের দায়িত্ব। ইউভানের খুব মজা। সকাল থেকে উঠেই বোনকে আদরে ভরিয়ে দিচ্ছে। ঘুরেফিরে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।

সকলে বলে, কন্যাসন্তান মানেই নাকি মা-বাবার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। আমি মানি না। সত্যিই ইয়ালিনিকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই আমাদের। বড় হয়ে কী হবে? মায়ের মতো অভিনয়ে আসবে? নাকি আমার মতো পরিচালনায়? এ সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না! আপাতত ও ওর মতো করে বেড়ে উঠুক। ওকে নিয়ে ভাবার মতো বয়সে পৌঁছোক। তার পর তো! সন্তানদের উপরে আমাদের অগাধ আস্থা, পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। কোনও ভেদাভেদ রেখে বড় করব না। যেটা ভাল পারবে সেটাই করবে। এমনকি, ইয়ালিনির নিরাপত্তা নিয়েও ভাবি না। খুব ভাল করে জানি, শুভশ্রীর সন্তানেরা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা মেটানোর মতো শক্তি-বুদ্ধি সব রাখবে।

আর হ্যাঁ, মেয়ে প্রেম করবে, কাকে জীবনসঙ্গী বাছবে— এ সব নিয়েও কোনও ভাবনা নেই। একটাই প্রার্থনা, আমাদের সন্তানেরা যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠে। আপনারা সেই আশীর্বাদ করবেন।

রাজ

আরও পড়ুন
Advertisement