Akshaya Tritiya 2025

শাঁখা-সিঁদুর পরে জগন্নাথ মন্দিরে দেবলীনা, স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গল নিয়ে সাফ জানালেন বিশ্বাসের কথা

‘‘যেখানে আছি সেখান থেকে মন্দির ও স্টেশন দুই-ই দেখা যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি কাতারে কাতারে লোক ঢুকছে’’, বললেন দেবলীনা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৯
অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার।

অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

এ বছরের অক্ষয়তৃতীয়া অন্য বারের তুলনায় বেশ কিছুটা আলাদা দেবলীনা কুমারের কাছে। অভিনেত্রী রয়েছেন দিঘায়, জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা উৎসবে। তাই দিনটা তাঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, জানালেন নিজেই।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। বুধবার দ্বারোদঘাটনেও উপস্থিত থাকবেন। প্রথম দিন সেজেছিলেন লাল-সাদা শাড়িতে। এ দিন অবশ্য শ্বশুরবাড়ির দেওয়া শাড়িতে সাজছেন দেবলীনা, সঙ্গে থাকছে মানানসই গয়না। কী হচ্ছে সেখানে, কী দেখলেন? আনন্দবাজার ডট কমকে জানাচ্ছেন দেবলীনা কুমার।

দিঘায় পৌঁছোনোর পর থেকেই লোকসমাগম দেখে মুগ্ধ অভিনেত্রী। এখনও দ্বারোদ্ঘাটন হয়নি। কিন্তু মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। তৃণমূলের অনেক বিধায়ক, সাংসদই উপস্থিত সেখানে। মঙ্গলবার রাতে এসে পৌঁছেছেন অভিনেতা-সাসংদ দেব। দেবলীনার কথায়, ‘‘অক্ষয়তৃতীয়ায় এমন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারার অনুভূতিটা আলাদা। এখানে পরিবেশটাই অসাধারণ। দিঘা এসে দুর্গাপুজোর মতো মনে হচ্ছে। রাস্তাঘাট আলোয় সাজানো, মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। যেখানে আছি সেখান থেকে মন্দির ও স্টেশন দুই-ই দেখা যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি কাতারে কাতারে মানুষ আসছেন।”

অভিনেত্রীর আশা, ব্যাপক ভিড় হবে। এমনিতেই বাঙালির ভ্রমণ শুরু হয় দিঘা, পুরী, দার্জিলিঙে। তাই জগন্নাথের প্রতিও একটা আলাদা ভক্তি রয়েছে। দেবলীনার কথায়, “বাড়ির কাছে একটা সংযোজন, ঘোরার জায়গা বাড়ল। পুরী গিয়ে জগন্নাথ ও সমুদ্র পেতাম। এত কাল দিঘায় শুধু সমুদ্র পেতাম, এ বার এখানেও জগন্নাথ চলে এলেন।’’

সাবেক সাজে সাজবেন দেবলীনা। কিন্তু অক্ষয়তৃতীয়ার বিশেষ মুহূর্তে কি তিনি সিঁদুর পরেন? বিশ্বাস করেন এই তিথিতে বিবাহিত নারীদের সিঁদুর আলতা দান করার মতো প্রথায়? নৃত্যশিক্ষক ও অভিনেত্রী দেবলীনা বলেন, ‘‘আমি আমার মায়ের থেকে অনেক বেশি সিঁদুর পরি। মন্দিরের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে সিঁদুর পরব, শাখা পরব। যদিও আমার মনে হয় গোটাটাই মানসিক বিষয়। সিঁদুর পরতেই হবে, তার সঙ্গে স্বামীর মঙ্গল-অমঙ্গলের জড়িয়ে রয়েছে, এ সব বিশ্বাস করি না।” দেবলীনার পরিবারের কেউও তেমন বিশ্বাস করেন না বলেই দাবি অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, “আমার শ্বশুরবাড়ি কিংবা গৌরব কেউই এ সব নিয়ে ভাবিত নয়। জোর করে সিঁদুর পরায় বিশ্বাস করি না।’’

তবে, মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের বিষয়টি নিয়ে উত্তেজিত দেবলীনা। বিকেলের উৎসবের প্রহর গুনছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন