নিজমুখে না বললে কোনও উপায় হবে না বলেই মনে করছেন দেলনাজ়। যেমনটি জানিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নীনা। ফাইল চিত্র
অভিজ্ঞ হয়েও হাতে কাজ নেই। অভিনেত্রী বলে নিজে থেকে কাজ খুঁজতে লজ্জা? একেবারেই না। নীনা গুপ্তের পথে হাঁটলেন অভিনেত্রী দেলনাজ় ইরানিও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, কাজ খুঁজছেন। বললেন, “আমি নীনা গুপ্ত নই, কিন্তু এই ভিডিয়ো দেখে যদি কিছু পথ খোলে, অপেক্ষায় থাকব।” টেলিভিশনে জনপ্রিয় মুখ দেলনাজ়। ‘ইয়েস বস’ থেকে শুরু করে ‘কাল হো না হো’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু ইদানীং কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন না ৫০ বছরের অভিনেত্রী। বললেন, “একটা সময় ছিল, যখন পরিচালক এবং প্রযোজকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার উপায় ছিল। সেই সুবিধা এখন আর নেই। সতীশ কৌশিক ‘কাল হো না হো’ দেখে আমায় ফোন করেছিলেন। এমন তো আর হয় না এখন। লড়াই করতে হচ্ছে... আমার কাজ দরকার। প্রযোজনার অফিসে গিয়ে কাজ খুঁজতে গেলেও এখন লোক ধরতে হয়।” দেলনাজ়ের আক্ষেপ, ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন এসেও সবার হাত ভরা। রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু যাঁরা বহু দিন ধরে অভিনয়ের জগতে আছেন তাঁদের কাজ নেই।”
অতএব, নিজেরা না জানালে কোনও উপায় হবে না বলেই মনে করছেন দেলনাজ়। যেমনটি জানিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নীনা।
২০১৭ সাল নাগাদ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন নীনা, “আমি মুম্বইয়ে থাকি। অভিনয় করি। ভাল চরিত্রের প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছি।” এই পোস্ট দেখার পর শোরগোল পড়ে। ইন্ডাস্ট্রির আর এক দিক নজরে আসে মানুষের। এ ভাবে কাজ খুঁজতে হচ্ছে নীনাকে? এমন দুর্দিন? শুরু হয়েছিল চর্চা। তবে কাজহারা মাঝবয়সি অভিনেতাদের কাছে দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন নীনা। তাঁর মেয়ে মাসাবা গুপ্তও মাকে সমর্থন করেন। লোকলজ্জা ছেড়ে সৎসাহস দেখানোর জন্য প্রশংসা পান নীনাও।
এর পরই ২০১৮ সালে ‘বাধাই হো’ ছবিতে সফল ভাবে নিজেকে তুলে ধরেন নীনা। সবার মন ছুঁয়ে যান। সেই প্রকাশ্যে কাজ চাওয়ার ঘটনার পরই কেরিয়ারে নতুন ইনিংস শুরু হয় তাঁর। মাসাবাও উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন নিজের মাকে। লেখেন, “কাজ চাইতে লজ্জা করে না মাকে দেখার পরই। ৬২ বছর বয়সে আমার জাতীয় পুরস্কারজয়ী মা যখন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে কাজ খোঁজেন, আমার সাহস অনেক গুণ বেড়ে যায়। একটা বয়সের পর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তবু আমার মা সব সময় বলে এসেছে, কাজ করতেই হবে। যদি সৎ হও, কাজ পারো, এই পৃথিবীতে কেউ তোমায় প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।”
দেলনাজ়ও সেই মন্ত্রেই বিশ্বাসী। আশায় আছেন, তিনিও ঠিক কাজ পাবেন।