Chunky Pandey

সিনেমার থেকে বেশি পয়সা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে! চাঙ্কি জানালেন কাঁদলে মূল্য কেমন?

কখনও বিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেত, কখনও আবার সাধের অনুষ্ঠানে, কখনও আবার শোকের বাড়িতে যেত হত থমথমে মুখ নিয়ে। দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলতে পারলে তো কথাই নেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১২
টাকার জন্য কত কী না করতে হয়েছে চাঙ্কিকে!

টাকার জন্য কত কী না করতে হয়েছে চাঙ্কিকে! ছবি: সংগৃহীত।

বাবা চাঙ্কি পাণ্ডের জীবনের লড়াই থেকে অনেক কিছু শিখেছেন মেয়ে অনন্যা। সেই শিক্ষা তাঁকে মাটিতে পা রেখে চলতে শিখিয়েছে। জন্মের পর থেকেই দেখেছেন, বাবার কেরিয়ারের ওঠাপড়া। বিশেষত, জ্ঞান হওয়া পরে অনন্যা দেখেন, বাবা চাঙ্কির কেরিয়ার ডুবন্ত। আশি ও নব্বইয়ের দশকে তারকার তকমা ছিল চাঙ্কির। অনন্যার জন্ম ১৯৯৮ সালে। সেই সময় থেকেই হাতে কাজ কমতে থাকে চাঙ্কির। তখন অন্য ধরনের চরিত্রে কাজ করা শুরু করেন অভিনেতা। তবে শুধু অভিনয় নয় একটা সময় নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে চাঙ্কিকে। লোকের বিয়ে থেকে বাচ্চার অন্নপ্রাশন, এমনকি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতেও গিয়েছেন। তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুধু গেলেই হয় না, টাকা বেশি পাওয়া একটি কাজ করলে।

Advertisement

সম্প্রতি কপিল শর্মার শোয়ে এসে নিজের অভিনয় জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন চাঙ্কি। সেখানেই জানান, কেরিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তরা কখনও বিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতেন, কখনও আবার সাধের অনুষ্ঠানে, কখনও শোকের বাড়িতে যেত হত থমথমে মুখ নিয়ে। দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলতে তো কথাই নেই! টাকার অঙ্কটা হয়ে যেত দ্বিগুণ। চাঙ্কির কথায়, “একদিন হঠাৎ এক অনুষ্ঠান আয়োজেকর ফোন এল, ‘দাদা কী করছেন?’, জানালাম শুটের জন্য বেরাচ্ছি। বললেন, ‘একটা শো আছে শোকের বাড়িতে যেতে হবে। শুধু সাদা পাঞ্জাবি পরে চলে আসবেন।’ কথা মতো গেলাম দেখলাম মরদেহ শায়িত। সকলের মুখ থমথমে। সেখানে যেতেই ভিড় থেকে সরিয়ে আয়োজক বললেন, ‘দাদা টাকার প্যাকেট আমার হাতে, একটু যদি কাঁদেন, আরও বেশি টাকা দেবে।” চাঙ্কিও তখন চোখের জল ফেলে টাকার প্যাকেট নিয়ে চলে গেলেন শুটিংয়ে।

আরও পড়ুন
Advertisement