সপরিবার অভিনেত্রী বিপাশা বসু। ছবি: সংগৃহীত।
দিন কয়েক আগেই একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে অভিনেত্রী বিপাশা বসু জানান, তাঁর মেয়ের জন্ম হয়েছে হৃদয়ে ছিদ্র নিয়ে। ‘ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট’-এ ভুগছিল সে। তিন মাস বয়সে পা দিতেই ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছিল ছোট্ট দেবীর। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভিজে যায় অভিনেত্রীর চোখ। তবে মাকে লাইভে কিছুতেই একা ছাড়বে না সে। জোর করেই মুখ দেখাল নিজের। মেয়ের এমন হাসিখুশি স্বভাবের কারণে আলোকচিত্রীদের কাছ থেকে মুখ লুকোতেও তিনি ব্যর্থ বলেই জানান বিপাশা।
অসুস্থতা নিয়ে জন্ম হলেও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর ছোট্ট দেবী। বিপাশা জানান, মেয়ের বয়স যখন ১৯ দিন, সে সময় থেকে পুরোদমে শরীরচর্চা করতে পারে খুদে। ডাম্বল তোলা থেকে শরীরচর্চার বিভিন্ন অভিব্যক্তি নাকি তার নখদর্পণে। মেয়ের এমন ফিটনেস দেখে বিপাশা নিশ্চিত, বড় হয়ে মেয়ে খেলোয়াড়ই হবে।
তবে মা হিসেবে বেশ উদ্বেগেই কেটেছে মেয়ের জন্মের পরের সময়টা। বিপাশার কথায়, ‘‘মা-বাবা হিসাবে আর পাঁচটা দম্পতির থেকে আমাদের যাত্রা অনেকখানি আলাদা ছিল। আমি চাইও না, এক জন মা হিসাবে যে সংশয়, যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছি, অন্য কারও সেই ধরনের কোনও অভিজ্ঞতা হোক। সন্তানকে কোলে নেওয়ার মাত্র তিন দিনের মাথায় আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। আমি ভেবেছিলাম, এই বিষয়টা জনসমক্ষে প্রকাশ করব না। তবে আমি জানি, এমন অনেক মা রয়েছেন, যাঁদের এ ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’’ বিপাশা আরও বলেন, ‘‘প্রথমে তো আমরা প্রায় দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছিলাম। পরিবারের সদস্যদেরও কিছু জানাতে পারিনি। কারণ, আমরা নিজেরাই বুঝতে পারছিলাম না, কী হতে চলেছে। তবে দেবী প্রথম থেকেই অসাধারণ।’’ অস্ত্রোপচারের পর এখন একেবারে সুস্থ দেবী বসু সিংহ গ্রোভার।