প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে কাজ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অভিনেতারা। এমনও গুঞ্জন, হিন্দি ছবি বা সিরিজ়ে শুধু মুখ দেখাবেন বলে টলিপাড়ার এই প্রজন্ম নাকি ভিড়ে ‘একস্ট্রা’ হয়ে দাঁড়াতেও রাজি! আর এই নায়ককে দেখুন। হিন্দি ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। মায়ানগরীতে উড়ে গিয়ে ধারাবাহিকের প্রচার ঝলকের শুটিংও সেরে ফেলেছেন। তার পর বৌয়ের ভয়ে সে সব ছেড়ে কলকাতায় এসে বসে আছেন!
ব্যাপার কী? টেলিপাড়ার এই নায়ক কলকাতার একটি প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। বছরের শুরুতে ওই সংস্থারই একটি ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাদেরই আড়াই বছর ধরে চলতে থাকা একটি বাংলা ধারাবাহিকের হিন্দি রিমেকে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। খবর, ধারাবাহিকটি দেখানো হবে জাতীয় স্তরের প্রথম সারির জাতীয় স্তরের চ্যানেলে। নায়কের আনন্দ ধরে না। সদ্য বিয়ে করেছেন। সবটাই স্ত্রী-ভাগ্য ধরে নিয়ে খুশি মনে উড়ে গিয়েছিলেন আরব সাগরের তীরে। সবে প্রচার ঝলকের শুটিং হয়েছে। এমন সময় বৌয়ের ফোন। প্রথমে অনুনয়, তার পরেই তেড়ে ঝগড়া! কী চান তিনি? অভিনেত্রী স্ত্রী বলিউড বোঝেন না। তাঁর দাবি, ফোন রেখেই অভিনেতা স্বামীকে কলকাতা ফিরতে হবে। তাঁর মা গুরুতর অসুস্থ। তিনি এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবেন না। নইলে...
অন্য কেউ হলে কী করতেন? তিনি বৌকে বোঝাতেন। যেনতেনপ্রকারেণ রাজি করাতেন। শুটিং থেকে ছুটি মিললেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যেতেন। তার পর মুম্বইয়ের কাজ শেষ করে একমুখ হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। ইনি কী করলেন? প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা, জাতীয় স্তরের চ্যানেল কর্তৃপক্ষ — কাউকে কিছু না জানিয়ে বিমানের টিকিট কেটে পালিয়ে এলেন কলকাতায়। ফলাফল, বাংলার অভিনেতার এই হঠকারিতায় হতভম্ব দুই সংস্থা। আগামী দিনের যাবতীয় কাজ থেকে তারা নাকি নায়ককে পত্রপাঠ বাতিল করে দিয়েছে!
খবরটি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও তেমন ভাবে চাউর হয়নি। হাতেগোনা কিছু মানুষ জানতে পেরেছেন। তাঁরা শুনে কপাল চাপড়াচ্ছেন। আর নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছেন, “এ ভাবে বাংলার মুখ পোড়ানোর খুব দরকার ছিল?”