পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত।
মরিয়াম এবং নূর বাংলাদেশের এক রিকশাচালক রনি সিকদার ফিরোজের দুই সন্তান। স্ত্রী নেই। দুই সন্তানকে বাড়িতে তালা বন্ধ করে রেখে কাজে বার হতে হয় তাঁকে। ফলে কোনও যত্ন ছাড়া খুব খারাপ ভাবেই থাকতে হয় দুই খুদেকে। অপরিচ্ছন্নতার মধ্যেই দীর্ঘ দিন থাকতে হচ্ছে তাদের। বাবা কাজে বেরিয়ে গেলে তাদের দেখার যে কেউ নেই। এ কথা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর বাংলাদেশের প্রশাসন। আর্থিক সহায়তা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী উপহারে একটি ঘর দেবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন। এক জন উপহার দিয়েছেন ইলেকট্রিক রিকশা।
এই সব খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আবেগপ্রবণ পরীমণি। নূর এবং মরিয়ামের মতো পরীও ছোটবেলায় তাঁর মাকে হারিয়েছিলেন। মা না থাকার বেদনা বুঝতে পারেন নায়িকা। সেই উপলব্ধি থেকেই দুই খুদের জন্য এগিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় কনটেন্ট নির্মাতা সাব্বির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিকশাচালকের পরিবারের পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘যুগান্তর’-এর খবর অনুযায়ী, ছেলে রাজ্যের পাশাপাশি দুই খুদের লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন নায়িকা। সারা রাত ঘুমোতে পারেননি পরী। এই খবর পড়ার পরে ছোটবেলায় মাকে হারানোর ঘটনাই তাই বার বার মনে পড়ছে। এই মর্মস্পর্শী ঘটনায় অসহায় পরিবারের পাশে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। নায়িকার সহকারী এই বিষয়টি নিশ্চিতও করেছেন।
শেষ কয়েক দিন ধরে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন নায়িকা। স্বামী শরিফুলের রাজের থেকে বহু দিন আলাদা রয়েছেন। তাই একা হাতেই ছোট ছেলেকে সামলাতে হচ্ছে। বেশ অনেক দিন রাজ্য অসুস্থও ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এখন সে সুস্থ। ভাল থাকার খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরী।