অনেক ধরনের প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকলেও মাঝেমাঝে অসহনীয় পরিস্থতিতে পড়তে হয় অভিনেতাদের। প্রতীকী ছবি।
সিনেমার দৃশ্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় অভিনেতাদের। অ্যাকশন দৃশ্য হোক বা যৌন দৃশ্য— হলিউডে এক চরিত্রের সঙ্গে অন্য চরিত্রের মিথস্ক্রিয়া ফুটিয়ে তুলতে বহু দূর অবধি যেতে হয় কলাকুশলীকে। সম্প্রতি তারই কিছু নমুনা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী অব্রে প্লাজ়া। জানালেন, এক ঘর লোকের সামনে ক্যামেরায় স্বমেহন করতে বলা হয়েছিল তাঁকে। পরিচালকের নির্দেশে চোখে সর্ষেফুল দেখেছিলেন অভিনেত্রী। কী করলেন তার পর?
সাধারণত শুটিং ফ্লোরে নগ্নতা প্রকাশের ক্ষেত্রে অভিনেতাদের কিছু আব্রুর ব্যবস্থা করা হয়। নকল যৌনাঙ্গ থেকে শুরু করে নকল স্তনবৃন্ত— সবই মজুত থাকে প্রযোজকদের কাছে। তবে অনেক ধরনের প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকলেও মাঝেমাঝে অসহনীয় পরিস্থতিতে পড়তে হয় অভিনেতাদের। বিশেষত, প্রস্তুতি ছাড়া যৌনদৃশ্যের শুটিংয়ে এসে অনেক সময় পাকে পড়ে যান তাবড় তারকারাও। অব্রে জানান, তাঁর ক্ষেত্রেও পরিচালকের দাবি ছিল, “এমন ভাবে হস্তমৈথুন করো, যেন বাস্তব মনে হয়।” তাই সে পথেই হাঁটতে হয়েছিল অব্রেকে।
প্রায় একই রকমের অভিজ্ঞতা অভিনেত্রী মার্গো রবিরও। ‘উলফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’ (২০১৩) ছবিতে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিয়োর সঙ্গে যৌনদৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি। জানান, শুটিং ফ্লোরে চারিদিকে ছড়ানো ছিল নকল যৌনাঙ্গ। তবে অব্রেকে আরও কয়েক ধাপ পেরোতে হয়েছিল একই বছরে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দ্য টু ডু লিস্ট’-এর জন্য। সেই কমেডি ছবিতে ব্র্যান্ডি ক্লার্ক নামের কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অব্রে। যে চরিত্র ঠিক করেছিল কলেজে পড়তে যাওয়ার আগেই সব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নেবে। সেখানেই স্বমেহনের দৃশ্য ছিল চিত্রনাট্যে।
পরিচালক ম্যাগি ক্যারে চেয়েছিলেন, নিজের সেরাটা দিন অব্রে। তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, “ক্যামেরার ফ্রেম থেকে হাতটা শেষে সরিয়ে বাইরে নিয়ে যাবে।” অব্রে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়ে বলেন, “আমার এক রকম মানসিক প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু সেটে গিয়ে দেখি ক্যামেরা রয়েছে সিলিংয়ে! আমি অন্তর্বাস পরে আছি। একটু দূরেই কয়েক জন পুরুষ বসে বসে ধূমপান করছে। পুরুষ মানে সেটেরই লোক। আমার অবস্থা ভাবুন!”
অব্রে জানান, এ সবের মধ্যেই নিজের সঙ্গে একাত্ম হতে হয়েছে। আত্মরতিতে মেতে উঠেছেন তিনি, ক্যামেরার সামনে। তাঁর গোটা শরীর ফ্রেমবন্দি করেছে ক্যামেরা।