(বাঁ দিকে) সোহিনী সরকার, শোভন গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)রণজয় বিষ্ণু। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমের ‘খসড়া’ লেখা হয়েছিল কবে? কেমন ছিল পাণ্ডুলিপি? মনই জানে। তবে এ বার সে খসড়া মুছে ফেলার পালা!
১৫ জুলাই শোভন গঙ্গোপাধ্যায়-সোহিনী সরকারের বিয়ে। গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল টলিপাড়ায়। এক বছরের সম্পর্ক শোভন-সোহিনীর। এ বার তা পরিণতির পথে। যে সময় থেকে শোভনের সঙ্গে সোহিনীর সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তখন নাকি তিনি অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন। ২০২৩ সালে পুজোর আগেই রণজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের কথা ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। প্রায় তিন বছরের বেশি একে অপরের সঙ্গে ছিলেন সোহিনী-রণজয়। আচমকাই বিচ্ছেদের কথা জানান। সোমবার অভিনেত্রী তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন। পাল্টা স্মৃতি মুছে ফেলার ইঙ্গিতই কি দিলেন রণজয়ের!
টেলিপাড়ার চর্চিত নায়ক রণজয় বিষ্ণু। সোহিনীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রণজয় কি আর প্রেমের কথা ভাবছেন না? সেই নিয়েও আলোচনা চলছে জোরদার। এ দিকে অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলির সঙ্গে তাঁর রসায়ন ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য কখনও কোনও স্পষ্ট জবাব দেননি অভিনেতা। এর মধ্যে শোভন-সোহিনীর বিয়ের সকালে শ্যামৌপ্তি ও অন্যদের সঙ্গে নিজের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে রণজয় লেখেন, “স্মৃতি এবং খসড়া সাফাই।”
এই খানেই তৈরি হতে পারে নতুন জল্পনা, তবে কি ‘খসড়া’ তৈরি করে রেখেছিলেন রণজয়! পুরনো সম্পর্কের সেই খসড়া পরিণতি পেল না বলে অভিনেতা কি হতাশ! নাকি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খসড়ায় বদল করে ফেলবেন তিনি, অথবা একেবারে নতুন করে লিখবেন অন্য গান! প্রেমের গান!
ভক্তরা রণজয়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন এই পোস্টের মন্তব্য বাক্সে। অনেকেই শ্যামৌপ্তির সঙ্গে তাঁর রসায়ন নিয়েও আশা প্রকাশ করেছে। তবে পুরনো সম্পর্ক নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য করতে চাননি রণজয়, কখনই।
এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সমাজমাধ্যমে নতুন প্রেমিকের সঙ্গে প্রাক্তনের ছবি দেখলে বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে? রণজয় বলেছিলেন, “ছবি দেখলে মন থেকে মঙ্গল কামনা করি। যার সঙ্গে এক সময় সম্পর্ক ছিল, প্রেম ভেঙে গিয়েছে বলে কি তার খারাপ চাইব? এটা হয় কখনও!” তিনি আরও জানান, যদি কারও সঙ্গে ভাল মুহূর্ত কাটিয়ে থাকেন অথবা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখেন, তাঁর প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল রণজয়। প্রাক্তনের বর্তমান সম্পর্কের প্রতিও শ্রদ্ধা রয়েছে অভিনেতার। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের বিচ্ছেদের নিশ্চয়ই কোনও কারণ ছিল।” খারাপ-ভাল বলার ঊর্ধ্বে এই বিষয়টি। সব কিছু মাপকাঠি দিয়ে বিচার করা হয় না বলে মনে করেন অভিনেতা।