‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে এসে এমনই এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন অনামিকা। ছবি: সংগৃহীত।
অনামিকা সাহা। দাপুটে খলনায়িকা বলেই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পরিচয়। সত্তর দশক থেকে বড় পর্দায় দেখে আসছেন দর্শক। ঝুলিতে বহু অভিজ্ঞতা। ভাল-মন্দ মিশিয়ে কেটে গিয়েছে প্রায় ৪০ বছর। ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে এসে এমনই এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন অনামিকা। যা শুনে রীতিমতো চমকে যান অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অঞ্জন চৌধুরীর বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন অনামিকা। বিশেষত খলনায়িকার চরিত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘নাচ নাগিণী নাচ’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে সে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সিনেমার নামেই যখন নাগ শব্দটা আছে, বোঝাই যাচ্ছে ছবির বড় চরিত্র ছিল সাপ। সিনেমায় বিষধর সাপেদের সঙ্গে শুটিং করতে গিয়ে ছোবল খেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
অনামিকা বলেন, “দোতলা বাড়ির সেট। দোতলার বারান্দায় সারি দিয়ে রয়েছে প্রায় ৩০টা সাপ। নীচে আমি দাঁড়িয়ে আর আমায় ঘিরে ফণা তুলে রয়েছে সাতখানা সাপ। মাঝে আমায় ঝাঁটা নিয়ে নাচতে হচ্ছে তু চিজ় বড়ি হ্যায় মস্ত গানে। তারই মধ্যে একটি সাপ মারল ছোবল। পা ভাগ্যিস ঢাকা ছিল, তাই অল্পের উপর বেঁচে যাই। তবে সাপের বিষে আমার শাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই শাড়ি এখনও সযত্নে তোলা আছে আমার।”
বেশ কিছু দিন আগে পর্যন্ত সিরিয়ালে চুটিয়ে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে করোনা পরিস্থিতির পর এখন অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন অনামিকা।