(বাঁ দিকে) বিক্রম ভট্ট (ডান দিক) অমিশা পটেল ছবি : সংগৃহীত।
২০০০ সালে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ। প্রথম ছবিতেই সুপারহিট। দ্বিতীয় ছবিও ব্লকবাস্টার। তিনি অমিশা পটেল। হৃতিক রোশনের বিপরীতে এই ছবি আকাশছোঁয়া সাফল্য এনে দেয় অমিশাকে। এর পর আমিশা ‘বদ্রী’ নামে একটি দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেন। সেটিও বক্সঅফিসে সফল হয়েছিল। পর পর সাফল্যের সুবাদে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে সমস্যা হচ্ছিল না আমিশার। প্রথম দুই ছবির সাফল্যকে ছাপিয়ে গেল আমিশার তৃতীয় ছবি ‘গদর এক প্রেম কথা’। ধুমকেতুর মতো উত্থান হল অমিশার হিন্দি সিনেমায়। তবে যে গতিতে সাফল্য এল অভিনেত্রীর, ব্যর্থতাও এল তত দ্রুতই। ‘আপ মুঝে আচ্ছে লগনে লাগে’,‘ক্রান্তি’, ‘ক্যায়া এহি প্যায়ার হ্যায়’, ‘ইয়ে হ্যায় জলওয়া’, ‘পরওয়ানা’-সহ আমিশার বেশ কিছু ছবি মুখ থুবড়ে পড়ে। বড় নায়কের সঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করেও এই ছবিগুলিতে কিছু করে উঠতে পারেননি আমিশা। একটানা ব্যর্থতার পর ‘হমরাজ’ ছবির মাধ্যমে ফের আশার আলো দেখলেও ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক বিতর্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অভিনেত্রীর ভাবমূর্তি।
পরিচালক বিক্রম ভট্টের সঙ্গে অমিশার প্রেম নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় সেই সময়। যদিও অমিশা নিজে কিছু স্বীকার করেননি। শোনা যায়,‘আপ মুঝে অচ্ছে লগনে লগে’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে বিক্রমের সঙ্গে পরিচয় আমিশার। ক্রমে তা থেকে প্রেম এবং তার পর একত্রবাস। যদিও পরে অবশ্য অমিশা বিক্রমের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনেন। বিস্তর জলঘোলা হয় সে সব নিয়ে। পাঁচ বছরের মধ্যে ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। সেই ঘটনার এত বছর পেরিয়ে এ বার নিজের প্রেমজীবন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর ছবি ‘গদর’-এর দ্বিতীয় ভাগ। তা নিয়ে আশাবাদী অভিনেত্রী। কেরিয়ারের এক দীর্ঘ পর্বে সাফল্যের মুখে দেখননি। সেই জন্য সরাসরি তিনি দায়ী করেছেন বিক্রমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অধ্যায়কে। অমিশা বলেন, ‘‘আমার জীবনে মোটে দুটো সম্পর্ক ছিল। দুটোই আমার কেরিয়ারের ক্ষতি করেছে। গত ১২-১৩ বছর ধরে পুরুষবর্জিত আমার জীবন। আমি শান্তি চাই। তার বেশি কিছু চাই না।’’ পাশপাশি অমিশা জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে সুপারস্টার কিংবা বড় তারকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে তবেই সুবিধা পাওয়া যায়। নতুবা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আগামী ১১ অগস্ট মুক্তি পাবে ‘গদর ২’। এখন এই ছবির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন অভিনেত্রী।