গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি ছবির একটি পোস্টার।
‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’-র উপরে অভিযোগের স্তূপ জমা হচ্ছে। রোজ রোজ নতুন বিক্ষোভের মুখে পড়ছে আলিয়া অভিনীত নতুন ছবি। এর আগেও একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। ‘বাজিরাও মস্তানি’ ও ‘পদ্মাবত’ নিয়েও বিক্ষোভ হয়েছিল। তবে এ বার কেবল একটি না, একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
সোমবার মুম্বইয়ের কংগ্রেস বিধায়ক আমিন প্যাটেল দাবি তুলেছেন, ছবিটির নাম বদলাতে হবে। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ নামটির মধ্যে কচ্ছের রন সংলগ্ন কাথিয়াওয়াড় শহরটির অবমাননা করা হচ্ছে। বিধানসভায় তাঁর আবেদন জানান, ‘‘এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হোক। মহিলারা এখন এই বৃত্তির বাইরে গিয়েও একাধিক কাজকর্ম করছেন। ছবিতে কাথিয়াওয়াড় এলাকার অপমান করা হচ্ছে। তাই নামটা অবিলম্বে পরিবর্তন করে দেওয়া হোক।’’
পরপর দু’দিন ভিন্ন দু’টি বিক্ষোভের সম্মুখীন হন নির্মাতারা। রবিবার অভিযোগ উঠেছিল, ছবিটির টিজার দেখে কামাথিপুরার বাসিন্দাদের ভাবাবেগ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। কারণ, ছবিটির প্রেক্ষাপট কামাথিপুরা। কামাথিপুরার যৌনপল্লিতে গাঙ্গুবাইয়ের ব্যবসা ছিল। তাঁর দাপটে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। কিন্তু টিজারে কামাথিপুরার যে রূপ দেখানো হয়, তাতে সেই এলাকাকে অপমান করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ফলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
ছবিটির প্রথম ও দ্বিতীয় লুক প্রকাশ পেয়েছে। সঙ্গে টিজারটিও মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। টিজারটি যে দর্শকদের মনে ছাপ ফেলেছে, তার প্রমাণ নেটমাধ্যম। নেটমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছিল আলিয়ার লুক ও অভিনয় নিয়ে। ভন্সালী পরিচালিত আগামী ছবি নিয়ে চর্চা বেশ ইতিবাচক রূপ নিয়েছিল শুরুতে। কিন্তু সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে।
নাম ‘পদ্মাবতী’ থেকে ‘পদ্মাবত’ হওয়ার পরেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছিল সেই ছবিটি। ফের একই ঘটনা ঘটতে চলেছে কি আলিয়া-সঞ্জয়ের এই ছবির ক্ষেত্রে? এ বার ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ নামটি কি পরিবর্তন করবেন নির্মাতারা, এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।