‘ময়দান’ ছবির একটি দৃশ্যে অজয় দেবগন। ছবি: সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ছবি ‘ময়দান’। এ দিকে তার আগেই নির্মাতাদের পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিস। তাঁর লেখা গল্প ‘চুরি’ করা হয়েছে, দাবি জানিয়ে কর্ণাটকের চিত্রনাট্যকার অনিল কুমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মহীশূরের একটি জেলা আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন। আদালত ছবিমুক্তির উপর স্থগিতাদেশও জারি করে। এ বার এ প্রসঙ্গে ‘ময়দান’ ছবির নির্মাতারা বিবৃতি প্রকাশ করলেন।
‘ময়দান’ ছবির অন্যতম প্রযোজক বনি কপূর। তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ‘বেভিউ প্রজেক্ট এলএলপি’র তরফে সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন যে, তাঁদের না জানিয়েই আদালত এই স্থগিতাদেশ জারি করেছে। লেখা হয়েছে, ‘‘জেলা আদালত এক পক্ষের বক্তব্য শুনেই রায় দান করেছে। আমাদের কথা শোনা হয়নি।’’ এরই সঙ্গে নির্মাতারা দাবি করেছেন, যে তাঁদের না জানিয়েই এই রায় দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘ছবিমুক্তির পর এ রকম কোনও রায় দেওয়া হলে মনে রাখতে হবে সেটাই বেআইনি।’’ একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা এ বার কর্নাটক হাই কোর্টে মামলা করতে চলেছেন। একই সঙ্গে ‘ময়দান’-এর মুক্তি যে কোনও ভাবেই আটকাচ্ছে না, সে কথাও ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন নির্মাতারা।
সম্প্রতি কর্নাটকের চিত্রনাট্যকার অনিল কুমার দাবি করেন, ১৯৫০ সালে ফুটবল দলের বিশ্বকাপ না খেলাকে কেন্দ্র করে তিনি একটি গল্প লেখেন। ২০১০ সালে তিনি নাকি সেটি মুম্বইয়ে রেজিস্ট্রেশন করান। অনিল এরই সঙ্গে জানান, চিত্রনাট্য লেখার পর ২০১৯ সালে ‘ময়দান’ ছবির সহ-পরিচালক সুখদাস সূর্যবংশী তাঁকে মুম্বইয়ে ডেকে পাঠান। অনিল তাঁকে সম্পূর্ণ গল্পটিও নাকি শোনান। অনিল দাবি করেছেন, ‘ময়দান’ ছবির ট্রেলার দেখে এবং কলাকুশলীদের সাক্ষাৎকার পড়ে তিনি এখন বুঝতে পেরেছেন যে, তাঁর শোনানো গল্প থেকেই তৈরি হয়েছে ছবিটি। অনিল নাকি তাঁর গল্পের নাম রাখেন ‘পদকন্দুক’। এখন দু’পক্ষ ‘ময়দান’-এ নামায় খেলা যে জমে উঠেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।