মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে ঐশ্বর্যা। ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ে ছবিশিকারিদের অতিমাত্রায় তারকাদের জীবনে অনুপ্রবেশকে একহাত নিলেন ঐশ্বর্যা রাই। কোনও অনুষ্ঠান, বিমানবন্দর, রেস্তরাঁয় ব্যক্তিগত পরিসরেও ঢুকে পড়েন তাঁরা। সম্প্রতি অভিনেত্রীদের শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গের ছবি তোলা নিয়ে সরব হয়েছেন বলি অভিনেত্রীরা। তারকাদের জীবন তো বটেই, ছবিশিকারিদের এই অহরহ ছবি তোলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না খুদে তারকা সন্তানেরা।
তবে এই পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে ঐশ্বর্যাকে যতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, আরাধ্যার ক্ষেত্রে বিষয়টি খানিক সহজতর বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, অভিনেত্রী হওয়ার আগে এই জীবনযাত্রার সঙ্গে আগে পরিচিত ছিলেন না তিনি। কিন্তু কন্যা আরাধ্যা জন্ম ইস্তক এই পরিবেশেই বেড়ে উঠছে। তাঁর কথায়, “আরও পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো আমি মেয়ের হাত ধরে গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছি। চারপাশে দেখি ছবিশিকারিদের নাটক চলছে। আমি কিন্তু তখনও মেয়ের সঙ্গে কথোপকথন জারি রেখেছি।”
আরাধ্যা যাতে এই পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, সে দিকে সর্বদা নজর রাখেন অভিনেত্রী। ছোটখাটো কথাবার্তা থেকে শুরু করে অদ্ভুত বিষয়ে আলোচনা হলেও ছবিশিকারিদের দেখে সেই আলোচনায় দাঁড়ি টানেন না অভিনেত্রী। অবশ্যই সেই আলোচনা নিজেদের মধ্যে সীমিত রাখেন তিনি। আরাধ্যার কাছে ছবিশিকারিদের উপস্থিতিকে স্বাভাবিক করে তোলার জন্য মেয়ের সঙ্গে সেই সময় রসিকতা শুরু করেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি সহজ করে তোলার জন্য এই পন্থা গ্রহণ করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী বললেন, “কখনও কখনও ছবিশিকারিদের দেখে আরাধ্যা বলে ওঠে, ‘হে ভগবান আবার কেন!’ আমি তখন ওকে বলি, ‘কী আর করা যাবে। ওরা এসে গিয়েছে। আমরা তো আমাদের মতো কথা বলে যাচ্ছি।’” মোদ্দা কথা, মা-মেয়ের নিখাদ আড্ডার বাইরে কে কী ছবি তুলল, কী করল, সে দিকে খেয়াল রাখেন না ঐশ্বর্যা।