শ্রুতি দাস
‘ত্রিনয়নী’-র পর ‘দেশের মাটি’। দুটো ধারাবাহিকেই ভাল অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শ্রুতি দাস। তাঁর পরেও তাঁকে নিয়ে দর্শক, নেটাগরিকদের সমস্যা। তাঁদের একাংশ এখনও ভাল চোখে দেখেন না অভিনেত্রীকে। এ দিকে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’-তে আপাতত রাজা-মাম্পি জুটির থেকেও প্রাধান্য পাচ্ছে কিয়ান-নোয়া জুটি। সঙ্গে সঙ্গে নেটমাধ্যমে ফের অশান্তি শুরু।
অভিযোগকারীরা শ্রুতির সামাজিক পাতা ভরিয়ে দিয়েছেন অকথা-কুকথায়। সে বিষয়ে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি। বিরক্ত অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আবারও ক্রমাগত নোয়াকে নায়িকা মানছি না মানব না পোস্টে আমার সামাজিক পাতা নোংরা হচ্ছে’। তাঁর যুক্তি, ‘বয়কট স্টার জলসা’, ‘বয়কট দেশের মাটি’-- এ সব তাঁকে শুনিয়ে লাভ নেই।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শ্রুতির পাশে দাঁড়িয়েছেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ময়না মুখোপাধ্যায়ের মতো একাধিক অভিনেতা। নেটমাধ্যমে শ্রুতিকে দুই অভিনেতার পরামর্শ, মন্দ লোক মন্দ কথাই বলবে। শ্রুতির উচিত, সে সব কানে না তুলে নিজের কাজ করে যাওয়া।
কী কারণে শ্রুতিকে নিয়ে এত আপত্তি দর্শকদের একাংশের? নেটাগরিকদের কটাক্ষ শ্রুতির গায়ের রং নিয়ে। তাঁরা সরাসরি নেটমাধ্যমে জানিয়েছেন, কৃষ্ণাঙ্গী নায়িকা তাঁরা মানবেন না। তাঁদের আরও দাবি, দর্শকেরা ধারাবাহিকটি দেখেন রাজা-মাম্পির জন্য। কিয়ান-নোয়ার জন্য নয়। তাই নোয়া প্রাধান্য পাবে, এটা তাঁরা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না।
শ্রুতি যদিও সপাটে জবাব দিয়েছেন। নেটাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি নায়িকা হতে আসিনি, অভিনেত্রী হতে এসেছি। যিনি বা যাঁরা আমায় যথাযথ চরিত্র দিয়েছেন, আমি তাঁর বা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ অভিনেত্রীর দাবি, তিনি কখনও নিজেকে নায়িকা বলে দাবি করেন না। তাই ‘শ্রুতি দাসকে আমাদের কথাগুলো জানানোর জন্য ট্যাগ করুন’ বলে কোনও লাভ নেই।
এই ঘটনার পাশাপাশি আরও একটি ঘটনা নিয়েও বিব্রত শ্রুতি। সম্প্রতি, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবির নাম ঘোষণা হয়েছে। ছবির পোস্টারে দেখা গিয়েছে অন্য এক অভিনেতা শ্রুতি দাসের নাম। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে ফোন, মেসেজ শ্রুতির কাছে।
সবার কৌতূহল, ছোট পর্দা ছেড়ে শ্রুতি কি সৃজিতের ছবিতে অভিনয় করছেন? সেই জিজ্ঞাসা ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমেও। পরে শ্রুতি সবার উদ্দেশে একটি পোস্ট ভাগ করে নেন। বলেন, নামটুকুই এক। আর কোনও মিল নেই দুই শ্রুতির মধ্যে। আগামী দিনে এ রকম ঘটনা ঘটলে তিনি তা সবার আগে ভাগ করে নেবেন নেটমাধ্যমে।