সিঁদুরখেলায় শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সারা বছর এই চারটে দিনের অপেক্ষা। শারদীয়াকে ঘিরে সাধারণ-খ্যাতনামীরা এক পংক্তিতে। রুপোলি পর্দার তারকারাও চারটে দিন মাটির কাছাকাছি। ঢাক বাজানো, ধুনুচি নাচ, পুজোর কাজ, ভোগ পরিবেশন এবং শেষে সিঁদুরখেলা— এই তাঁদের চার দিনের রুটিন। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। যেমন, পঞ্চমীতে মিমি চক্রবর্তী যদি নেচে মণ্ডপ মাতিয়েছেন, দশমীর সন্ধ্যায় অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ধুনুচি নাচ ভাইরাল হয়েছে। সমাজমাধ্যম ছেয়ে গিয়েছে যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহানের সিঁদুরখেলার ছবিতে।
নবমীর রাতে ছেলে ঈশানকে ধুতি-পাঞ্জাবিতে সাজিয়ে যশের সঙ্গে ছবি ভাগ করে নেন নুসরত। বিজয়া দশমীতে তারকা দম্পতিকে প্রতি বছরের মতো সিঁদুরখেলায় মাততে দেখা যায়।
এ বছরের পুজোয় আবেগ, উদ্যাপন সংযত। বর্তমান পরিস্থিতি এই আবহ তৈরি করে দিয়েছে। তবু বৎসরান্তের সংস্কার থেকে দূরে সরেন কী করে? এই অনুভূতি থেকেই দেবীবরণ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সিঁদুরে রাঙা ছবি অনুরাগীদের খুব পছন্দ। দশমীর রাতে শুভশ্রী লাল শাড়িতে সেজে পরিচালক স্বামী রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবি তোলেন। রবিবার সকালে আটপৌড়ে ঢঙে লাল পাড় সাদা গরদে সাজেন তিনি। এ ভাবেই আবাসনের পুজোয় সিঁদুর খেলেন প্রত্যেক বছরের মতো। সঙ্গী রাজ, ছেলে ইউভান।
এ বছর বিয়ের পর প্রথম সিঁদুরখেলা দর্শনার। লাল শাড়িতে সুন্দর করে সেজে তাঁকেও দেবীবরণ করে দেখা যায়। দর্শনার সঙ্গে সিঁদুরখেলায় মাতেন স্বস্তিকা দত্ত। একই ভাবে শাড়িতে সনাতনী সজ্জায় ঋতাভরী চক্রবর্তী। এ বছর তাঁর পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’ দর্শকমন জয় করেছে। সিঁদুরের সঙ্গে সেই আনন্দ মিশে গিয়ে নায়িকাকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
দশমীর রাতে অনিন্দ্যর ধুনুচি নাচ ছিল দেখার মতো। বন্ধু মিমি চক্রবর্তীর আবাসনের পুজোয় ছিলেন তিনি। কালো পাঞ্জাবি, সাদা নকশা পাড় ধুতিতে সেজে, ধুনুচি হাতে অভিনেতার নাচ দেখে আনন্দে মাতোয়ারা উপস্থিত প্রত্যেকে।
এ বছরের পুজো সায়নী দত্তের কাছে বিশেষ। বিয়ের পর প্রথম পুজো, স্বামী প্রবাসী। বিদেশ থেকে এসে যোগ দিয়েছেন বিশেষ উদ্যাপনে। স্বাভাবিক ভাবেই সায়নী উল্লসিত। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তাঁর থেকেও তাঁর পঞ্জাবি স্বামীর বাঙালিদের সিঁদুরখেলা নিয়ে বেশি আগ্রহ। ফলে, তিনিও উদ্যাপনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সায়নীর সঙ্গে ছিলেন।
সান বাংলা চ্যানেলের নতুন ধারাবাহিক ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’-এর নায়িকা ‘আলো’ ওরফে পায়েল দে বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গা পুজো মণ্ডপে এসেছিলেন সিঁদুর খেলতে। সবাইকে পিঠে খাইয়ে মিষ্টিমুখ করান তিনি। বিজয়ার অভিনন্দন জানান উপস্থিত প্রত্যেক দর্শনার্থীকে।