‘ফুলকুমারী’ মধুমিতা সরকার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
‘ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত’...! ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি ফুল ফুটিয়েওছেন! নিজের পোশাকে, ১০ হাজার নানা রঙের গোলাপ। মধুমিতা সরকার। অভিনেত্রীর জীবনে এখন ভরা ‘বসন্ত’। সেই আনন্দেই কি তিনি ‘ফুলসাজে’? সপ্তাহের প্রথম দিনটিতে যাঁরা ‘মনডে ব্লুজ়’-এ ভোগেন, তাঁদের চোখ এবং মনের আরামের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ফুলের পোশাকে সেজে, ‘ফুলকুমারী’ হয়ে উপস্থিত সমাজমাধ্যমে। সব থেকে বড় কথা, নিজের পোশাকসজ্জা তিনি নিজেই করেছেন।
মধুমিতা কি পেশা বদলাচ্ছেন? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ফোনের ও পারে তাঁর গলা বলে দিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তিনিও উত্তেজিত। বলেছেন, “নানা পত্রপত্রিকায় দেখি, কী সুন্দর ফুলের পোশাকে সেজে সবাই মডেলিং করে। অনেক দিনের ইচ্ছে, আমিও করব। সেই শখপূরণ, বলতে পারেন।” নিজের শখ মেটাতে নিজেই ফুলের বাজারে হাজির। বেছে নিয়েছেন ১০ হাজার রং-বেরঙের গোলাপ। “সেই গোলাপ আমার এক পোশাকশিল্পী বান্ধবীকে দিয়ে বলেছিলাম, ‘ফুলের পোশাক বানিয়ে দে’। কেমন পোশাক চাইছি, তার ডিজ়াইন আমিই করেছি। বান্ধবী সেটা বানিয়ে দিয়েছে। কেমন লাগছে আমায়?” প্রশ্ন ‘ফেলু বক্সী’র নায়িকার।
নিজেকে সাজিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ানোর পরে নিজের কেমন লাগল? জবাবে ফের উচ্ছ্বসিত তিনি। খুশির সঙ্গে দ্বিধাও ছিল কণ্ঠে, “বেশ লাগছে, না?” তার পরেই খানিক খুঁতখুঁতে যেন। চেয়েছিলেন, পোশাকের কোনও অংশ দেখা যাবে না। শুধুই ফুল থাকবে। পোশাক তৈরির সময় দেখা গিয়েছে, সেটা করলে খুব ভাল দেখাবে না। পোশাকের পাশাপাশি ফুল ফুটেছে তাঁর গয়নায়, চুলেও। মধুমিতার মতে, “এই খুঁতটুকু না থাকলে বেশি খুশি হতাম।” নিজেই নিজেকে আশ্বস্ত করেছেন, এটি তাঁর প্রথম সৃজনশীল কাজ। আশা, পরের বার এটুকু খুঁতও থাকবে না।
মধুমিতার সৌজন্যে সমাজমাধ্যমে বসন্ত সমাগম। তাঁর জীবনেও প্রেম হয়ে ‘বসন্ত’ ধরা দিয়েছে। বিয়ের উদ্যাপনের পোশাকও নিজে ডিজ়াইন করবেন? না কি পেশাদুনিয়ায় আরও একটি দিশা তৈরি করতে চলেছেন তিনি!
হেসে ফেলে জবাব দিলেন, “ভাবনায় আছে। আগে দিনক্ষণ ঠিক হোক, তার পর বিয়ের পোশাক নিয়ে ভাবব।” তবে তাঁর আর দেবমাল্য চক্রবর্তীর বিয়েতেও যে ফুল বড় ভূমিকা পালন করবে, ইঙ্গিত দিয়েছেন তার। এ-ও জানিয়েছেন, অভিনয়ই তাঁর প্রথম এবং প্রধান পেশা। যখন মন অন্য কিছু চাইবে, তখন নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন এমনই কিছু সৃষ্টিশীল কাজে, আগামীতেও।