একতার জন্য জীবন শেষ হতে বসেছিল বরখার। ছবি: সংগৃহীত।
একতা কপূরের জন্য বিপাকে পড়েছিলেন বরখা বিস্ত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, সব হারাতে বসেছিলেন অভিনেত্রী। একতা কপূরের ধারাবাহিকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেছিলেন বরখা। ধারাবাহিকের নাম ছিল ‘কিতনি মস্ত হ্যায় জ়িন্দেগি’। কিন্তু পরে এই একতা কপূরের জন্যই আইনি বিপাকে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীতের সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন বরখা বিস্ত। অভিনেত্রীর বয়স তখন মাত্র ২৩। সেই সময় একতার একটি ধারাবাহিক থেকে বেরিয়ে যান বরখা। তার পরেই একতা মামলা করেছিলেন বরখার বিরুদ্ধে। একতার আইনজীবী সে সময় পর পর আইনি নোটিশ পাঠাতেন অভিনেত্রীকে। বিষয়টিতে বেশ শঙ্কিত ছিলেন বরখা।
বরখা জানিয়েছেন, ওই ধারাবাহিকের চরিত্রে নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। আরও ভাল কাজ করার জন্য তখন ধারাবাহিক থেকে বেরিয়ে এসে অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু মেনে নিতে পারেননি একতা। তাই তিনি মামলা করেন। পুরো বিষয়টি একা হাতে সামলেছিলেন বরখা। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি বাড়িতে কাউকে বলিনি। আমি নিজে এক জন আইনজীবীকে নিযুক্ত করি। পুরো মামলাটা নিজেই লড়েছিলাম। পরে একতা নিজেই বুঝেছিলেন, এ সব করার কোনও দরকারই ছিল না। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিজেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় একতার হাতে কারও কেরিয়ার গড়ে দেওয়ার বা ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। এমনকি এখনও ওঁর সেই ক্ষমতা রয়েছে। এই মামলা চলেছিল প্রায় এক বছর ধরে। এক দিকে আদালতে হাজিরা দিতাম। অন্য দিকে, নতুন একটি ধারাবাহিকের শুটিং করতাম।”
কিন্তু বরখা পরিবারকে কেন জানাননি এই সমস্যার কথা? বরখা বলেছিলেন, “বাড়িতে ঝগড়া করে আমি মুম্বই এসেছিলাম। তাই আর ফিরে গিয়ে এই সব বলার রাস্তা ছিল না। খুব গর্ব করে বলতাম, যা করব নিজের দমে করব। তাই সবটা নিজেই সামাল দিয়েছিলাম।”