প্রতারণার শিকার অদ্রিজা রায়। ছবি: ফেসবুক।
২০২৪ সাল ভাল যায়নি অদ্রিজা রায়ের। এক দিকে তিনি পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা ‘অনুপমা’র মতো ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর এক দিকে, ছ’লক্ষেরও বেশি টাকার খুইয়েছেন। অভিনেত্রী টের পেতে দেননি। সোমবার সেই খবর প্রকাশ্যে আসতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। মুম্বই থেকে শুটিংয়ের ফাঁকে তিনি বললেন, “দুটো ঘটনার জেরে অনেক টাকার লোকসান হয়েছে।” একটু থেমে যোগ করেন, “আমারও দোষ আছে। পাওনা টাকা আদায়ের কথা ভুলে যাই। যখন মনে পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।”
সোমবার জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, একটি বিজ্ঞাপনী ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অদ্রিজা রায়, অঙ্কিতা লোখান্ডে, আয়ুষ শর্মা-সহ ২৫ জন জনপ্রিয় অভিনেতা। অদ্রিজা জানিয়েছেন, শুটিং হয়েছিল গত অগস্টে। শুটিংয়ের পর ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। তার পর আর কিছুই পাননি তিনি। একই ঘটনা ঘটে বাকিদের সঙ্গেও। গত বছরের শেষে ওই বিজ্ঞাপনী ছবির জন্য যিনি যোগাযোগ করেছিলেন সেই সংযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিনেতাদের আপ্তসহায়কেরা। অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। খবর, একের পর এক চেক বাউন্স হয়ে যায়। এর পরেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন কয়েক জন অভিনেতার আপ্তসহায়ক। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে চেম্বুর পুলিশ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অদ্রিজার দাবি, তিনি দেড় লক্ষেরও বেশি টাকা পান ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে।
এই ঘটনা ছাড়া আরও একটি অঘটন ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। সম্প্রতি, বন্ধু অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের সঙ্গে বিদেশ বেড়াতে গিয়েছিলেন অদ্রিজা। সেখানে তিন লক্ষেরও বেশি টাকার ক্ষতি। অভিনেত্রীর কথায়, “দেবচন্দ্রিমা কলকাতায় গিয়ে থানাপুলিশ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করিয়েছে।”
টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আলাদা করে কোনও আইনি পদক্ষেপ করছেন তিনি?
অদ্রিজা বলেছেন, “প্রথমত, মুম্বইয়ে টানা শুটিংয়ে ব্যস্ত। এত দৌড়ঝাঁপ করার সময় নেই। তা ছাড়া, আমার টাকার মোহ কম। অর্থের পিছনে দৌড়ই না। আমার বিশ্বাস, সৎ থাকলে আমার উপার্জন বন্ধ হবে না।”