শীঘ্রই পহেলগাঁও যাওয়ার পরিকল্পনা দেবদূতের। ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীরে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষের বড় ভাই। জঙ্গি হামলার ঘটনার এক দিন আগেই তাঁরা সপরিবার পৌঁছেছিলেন সেখানে। পরের দিনই ঘটে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সেই পরিস্থিতিতে হোটেল থেকে বাইরে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারেননি তাঁরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে কাশ্মীর থেকে বাড়ি ফিরেছেন। দাদারা সবাই ভাল আছেন, আনন্দবাজার ডট কমকে এমনটাই জানালেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই পহেলগাঁও যাবেন। অভিনেতা বললেন, “এই ঘটনার ভিত্তিতে আমরা যদি সেখানে যাওয়াই বন্ধ করে দিই তা হলে তো হেরে যাওয়া হবে। সেটা আমি একেবারেই চাই না। দাদারা এখন ভাল আছে। এই ঘটনার জন্য সারা ক্ষণই হোটেলে বন্দি ছিল ওরা। তাই কাশ্মীর দেখা হল না।”
অভিনয়ের পাশাপাশি নির্দেশনার কাজও করে থাকেন দেবদূত। সেই সূত্রেই পহেলগাঁও যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। অভিনেতা বললেন, “ মাথায় দুটো গল্প ঘুরছে। সেই জন্যই আরও ওখানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। এর আগেও একটা ছবি তৈরি করেছিলাম। এ বারেও কাজের জন্যই কাশ্মীর যাওয়ার ইচ্ছা।” রেকি করার জন্য শীঘ্রই তাই কাশ্মীর যাওয়ার ভাবনা ভেবে ফেলেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেননি দেবদূত। তারা রাজি হবে কি না সেটা অবশ্য অভিনেতার জানা নেই। তিনি বললেন, “এটা তো কারও ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। কিন্তু ছবির শুটিং করার ইচ্ছা আছে আমার। তাই রেকি করতে আমি যাব।”
পহেলগাঁও-এর বৈসরন উপত্যকায় নিজেও বেড়াতে গিয়েছেন দেবদূত। সেখানে প্রতি ১০০ মিটার অন্তর সশস্ত্র সেনা মোতায়েন থাকে। তা হলে কী ভাবে ২৬ জনকে প্রাণ হারাতে হল জঙ্গি হামলায়? সে প্রশ্নও তোলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার গাফিলতি তো রয়েছেই। তখন কী করছিল সেনা? আমার অবশ্য মনে হচ্ছে, পুলওয়ামার মতোই আরও এক বার নিরাপত্তার দিক থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ হল। মানুষের যা ক্ষতি হল, তা তো আর পূরণ করা যাবে না।”