Lok Sabha Election 2024

মহুয়ার সামনেই সংঘর্ষ দুই গোষ্ঠীর

সেই নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে চাপড়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন তৎকালীন ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য জেবের শেখ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
চাপড়া শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৪৩
চাপড়ায় মহুয়ার প্রচারে গোলমাল। নদিয়ার চাপড়ায় ।  ছবি : সংগৃহীত।

চাপড়ায় মহুয়ার প্রচারে গোলমাল। নদিয়ার চাপড়ায় । ছবি : সংগৃহীত।

তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল দলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন। শুক্রবার চাপড়ায় এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মহুয়াকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে হয়। গত লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চাপড়া থেকে সবচেয়ে বেশি ‘লিড’ পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন মহুয়া। এ বারও জিততে হলে তাঁকে চাপড়ার ভোটের উপর নির্ভর করতেই হবে। দলের অনেকেরই আশঙ্কা, চাপড়ায় রুকবানুর রহমান ও জেবের শেখের মধ্যে বিবাদ না মিটলে ভরাডুবি হতে পারে।

Advertisement

এই কোন্দলের সূত্রপাত বস্তুত গত বিধানসভা ভোটের আগে। সেই নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে চাপড়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন তৎকালীন ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য জেবের শেখ। পরাজিত হওয়ার পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি দলে ফিরতে না পারলেও জেলা সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তা করা হলেও এখন রুকবানুর ও ব্লক সভাপতি শুকদেব ব্রহ্মের অনুগামীরা জেবেরের সঙ্গে প্রচারে যেতে বেঁকে বসছেন।

তৃণমূল সূত্রের খবর, দুই গোষ্ঠী এত দিন পৃথক ভাবে দেওয়াল লিখছিল এবং প্রচার করছিল। এ দিন প্রার্থীকে নিয়ে এক সঙ্গে প্রচার ও রোড-শো করতে গিয়েই হয় বিপত্তি। চাপড়ার হাতিশালা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় এ দিন প্রচার ছিল। ওই সমস্ত এলাকা থেকে দুই গোষ্ঠীর লোকজনই জিধা গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের মাঠে জমায়েত হন। মহুয়ার হুডখোলা জিপে শুকদেব ব্রহ্ম ও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে জেবের শেখও ছিলেন। জিপ এগোতেই বাধে বিপত্তি। জেবের স্লোগান দেওয়া শুরু করতেই বেশ কিছু কর্মী গাড়ির পথ আটকে জেবেরকে নামিয়ে দেওয়ার় দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা, যা নিয়ে দুই শিবিরের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এমনকি দু’পক্ষে হাতাহাতিও বেধে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।

পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে মহুয়া গাড়ি থেকে নেমে এসে মাইক হাতে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। এ ভাবে প্রায় আধ ঘণ্টা চলার পর দুই পক্ষের যুযুধান কর্মীরা নিরস্ত হন। মহুয়ার মধ্যস্থতায় জেবের ও শুকদেবরা আবার মহুয়ার সঙ্গে একই গাড়িতে উঠে প্রচার শুরু করেন। যদিও চাপড়া ব্লক সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম দাবি করেন, “সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে কর্মীদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা তেমন কিছু নয়।” আর যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড সেই জেবের শেখ বলেন, “তেমন কিছু হয়েছে বলে তো আমার জানা নেই।”

এ দিন চাপড়ায় ছিলেন না বিধায়ক তথা তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান। পরে এই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “এখন তো সবাই তৃণমূল। কিছু কর্মী অতি উৎসাহিত হয়ে একটু সমস্যা তৈরি করেছিল। তেমন বড় কিছু নয়।”

আরও পড়ুন
Advertisement