Lok Sabha Election 2024

জগন্নাথকে ধরার দাবি তুলে অবরোধ, আদিবাসী-বিক্ষোভ

রানাঘাটের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা প্রার্থী জগন্নাথকে গ্রেফতার করার দাবিতে শুক্রবার দুপুরে শান্তিপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অভরোধ করেন আদিবাসীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৬
জগন্নাথ সরকার কে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ আদিবাসীদের। শুক্রবার নদিয়ায়।

জগন্নাথ সরকার কে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ আদিবাসীদের। শুক্রবার নদিয়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

আদিবাসী যুবককে মারধরের অভিযোগে রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে গ্রেফতারের দাবি তুলে বিক্ষোভ আন্দোলন গড়াল শুক্রবারেও। আহত যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব এসসিএসটি (অ্যাট্রোসিটিজ়) আইনে মামলা
রুজু হয়েছে।

Advertisement

রানাঘাটের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা প্রার্থী জগন্নাথকে গ্রেফতার করার দাবিতে শুক্রবার দুপুরে শান্তিপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অভরোধ করেন আদিবাসীরা। যদিও তাঁর উপরেই হামলা হয়েছে বলে জগন্নাথ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিকালে আবার বিজেপির তরফে শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়ার কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।

বৃহস্পতিবার শান্তিপুরের আড়বান্দি ২ পঞ্চায়েতের ডোমখিরার বাসিন্দা সুব্রত মুন্ডাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে জগন্নাথের বিরুদ্ধে। ওই দিন বিকালেই আদিবাসীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তা অস্বীকার করে জগন্নাথ পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁর উপরে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই রাতেই তিনি শান্তিপুর থানায় সুব্রত মুন্ডার পাশাপাশি তাঁর ভাই দেবব্রত মুন্ডা, বাবা কুশ মুন্ডা-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তির-ধনুক, লাঠি নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। সুব্রত মুন্ডার স্ত্রী-ও শান্তিপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুব্রত এ দিনো শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ দিন দুপুরে বিভিন্ন জায়গা থেকে জড়ো হওয়া আদিবাসীরা শান্তিপুরের বাবলার কাছে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের হাতে ছিল তির-ধনুক এবং আম্বেডকর ও বিরসা মুন্ডার ছবি। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লক (এ) সভাপতি সুব্রত সরকার ও ব্লক (বি) সভাপতি কানাই দেবনাথ, জেলা তৃণমূলের সম্পাদক তাপস ঘোষেরাও সেখানে যান। দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের রাজ্য নেতা সব্যসাচী দত্ত, যুব তৃণমূল নেতা শুভঙ্কর সিংহ, তৃণমূল নেত্রী রিক্তা কুণ্ডুরা সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে যান। সব্যসাচীর কটাক্ষ, "প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তিনি আদিবাসীপ্রেমী। তা হলে ওঁর উচিত দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।"

তফসিলি আইনের যে ধারায় জগন্নাথের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে সেটি জামিনঅযোগ্য। তবে জগন্নাথের দাবি, "আমি অভিযোগ জানিয়েছি এটুকু জানি। যে কেউ নিজেকে বাঁচাতে অনেক কিছু অভিযোগ করতে পারে। তা হলেই তা সত্যি হয়ে যায় না।"

আরও পড়ুন
Advertisement