Lok Sabha Election 2024

জয়ন্তকে ‘মাহুত বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ নির্মলের

শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গানগর এলাকার দু’টি বাড়িতে আগুনে লাগে। এ দিন খোঁজ নিতে এলাকায় গিয়েছিলেন জয়ন্ত। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।

Advertisement
নীতেশ বর্মণ
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৬
আমবাড়ির কামারভিটায় রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের সঙ্গে প্রচারে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়।

আমবাড়ির কামারভিটায় রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের সঙ্গে প্রচারে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। ছবি: সন্দীপ পাল।

ঘিরে থাকা কর্মী, সমর্থকদের মাঝে দোতারা হাতে তুলে নিলেন তিনি। গাইতে শুরু করলেন জনপ্রিয় ভাওয়াই গান, ‘তোমরা গেইলে কি আসিবেন মোর মাহুত বন্ধু রে...’ অর্থাৎ, একবার চলে গেলে আমার মাহুত বন্ধু কি আর ফিরে আসবেন? গানের ফাঁকে ফাঁকে ‘কটাক্ষ’ করতে ছাড়লেন না জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়কে। তিনি এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তাঁর অভিযোগ, ‘মাহুত বন্ধু’র মতোই সাংসদ হয়ে জয়ন্ত দিল্লিতে গিয়ে আর এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনতে চাননি। রবিবার শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন আমবাড়ি এলাকায় দলীয় প্রচারে বেরিয়ে গানের ব্যাখ্যা দিয়ে নির্মল বলেছেন, ‘‘গানের মধ্যে থাকা মাহুতের জন্য হৃদয়বিদারক যে অপেক্ষার কথা বলা হয়েছে, সাংসদ জয়ন্তের জন্যেও মানুষের অপেক্ষাটা যেন সে রকমই ছিল। কিন্তু তিনি ভোটের পরে নিরুদ্দেশ ছিলেন। যে কথা দিয়েছিলেন, সেটাও রাখতে পারেননি।’’

Advertisement

শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গানগর এলাকার দু’টি বাড়িতে আগুনে লাগে। এ দিন খোঁজ নিতে এলাকায় গিয়েছিলেন জয়ন্ত। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সাংসদকে কাছে পেয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন, এতদিন কোথায় ছিলেন? পাঁচ বছরে ছায়া পর্যন্ত পড়েনি। আর ভোটের আগে রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সেখানকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তবে জয়ন্তের দাবি, তিনি অনেকবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ঘুরেছেন। পুর এলাকাতেও গিয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে পুরসভার উদাসীনতায় শহরের অনেক জায়গায় আগুন লেগেছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হন। তাতে ‘তৃণমূলী’দের গায়ে জ্বালা হয় বলে তাঁর দাবি। সংসদে ফাঁকি না দিয়ে এলাকার মানুষের কথা তুলে ধরেছেন বলে জয়ন্তের দাবি। এনজেপি স্টেশন নতুন করে তৈরি থেকে বন্দে ভারত ট্রেন চালুর ব্যপারে তাঁর ভূমিকার কথাও বলেন এ দিন। জয়ন্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থীকে কতজন চেনেন? গান শোনালেই তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলে যাবে না মানুষ। মানুষ আমাদের চাইছেন। কিন্তু, তৃণমূলীরা মিথ্যা কথা বলে নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করতে চাইছে।’’

জয়ন্তকেও বিভিন্ন মঞ্চে ভাওয়াইরা গান করতে দেখা গিয়েছিল। এখানে বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। প্রার্থী হলে তিনিও গানের সুরে তৃণমূলকে বিঁধবেন বলে জানালেন জয়ন্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement