Mahua Moitra

দলীয় কর্মীদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে মেজাজ হারালেন মহুয়া, বিধায়ক রুকবানুর বললেন, ‘নিচুতলার ক্ষোভ’

শুক্রবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাপড়া বিধানসভা এলাকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন মহুয়া। হুডখোলা জিপে প্রচার চলছিল। মহুয়ার সঙ্গেই ছিলেন সদ্য দলে ফেরা জেবের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চাপড়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৯
image of Mahua Moitra

মহুয়া মৈত্র। — ফাইল চিত্র।

ভোটের প্রচারে বেরিয়ে শুক্রবার ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। অভিযোগের আঙুল দলেরই একাংশের দিকে। ওই স্লোগান শুনে মেজাজ হারান তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ। চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রুকবানুর রহমানের দাবি, দলীয় কর্মীরা ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করেছেন। চাপড়া ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি জেবের শেখকে দলে ফেরানোর কারণেই এই ‘ক্ষোভ’। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

শুক্রবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাপড়া বিধানসভা এলাকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন মহুয়া। হুডখোলা জিপে অন্যান্য দিনের মতো প্রচার চলছিল। মহুয়ার সঙ্গেই গাড়িতে ছিলেন সদ্য দলে ফেরা জেবের। নির্বাচনী প্রচারগাড়ি চাপড়া-১ ব্লক এলাকায় পৌঁছলে আচমকা তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকেরা মহুয়াকে লক্ষ্য করে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকাও দেখা গিয়েছে। এতে চটে যান মহুয়া। মোবাইলে এই বিক্ষোভের ভিডিয়ো তুলছিলেন কয়েক জন। তা দেখে গাড়ি থেকে মাইকে মহুয়া ভিডিয়ো বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চাপড়া কেন্দ্রে রুকবানুরকে টিকিট দেয় তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৎকালীন চাপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি জেবের। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল তাঁকে বহিষ্কার করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হলেও কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়ার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক বজায় ছিল বরাবর। জেলা সভাপতি হওয়ার পর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হয়েছেন মহুয়া। মহুয়ার হাত ধরে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে জেবেরও।

তৃণমূল নেতা জেবের এবং চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রুকবানুরকে একই মঞ্চে দেখা গেলেও, তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে দূরত্ব মোছেনি। যার জেরে শুক্রবারের ঘটনা বলে মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে রুকবানুর বলেন, ‘‘জেবের শেখ আমার বিরুদ্ধে বিধানসভায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটেও নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিল। তাঁকে নিয়ে মহুয়া প্রচারে বেরনোর কারণে নিচু তলার কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’ এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘‘জেবের দলে ফের যোগদান আমরা মেনে নিলেও, যাঁরা মন দিয়ে তৃণমূল করেছেন, তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। একটু সময় লাগবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement