কীর্তি আজাদ। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুকথার জন্য বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে ভৎসর্না করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীও আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি। সোমবার ভাতারে প্রচারে যান তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। দিনভর নানা কর্মসূচিতে মহিলাদেরই ‘মহিষাসুর’ (এর আগে দিলীপ ঘোষকে এ নামেই ডেকেছিলেন তিনি) বধে ত্রিশুল, গদা হাতে নিয়ে চণ্ডীরূপ ধরতে বলেন। দিলীপ সন্ধ্যায় বর্ধমানের ভাঙাকুঠিতে চা-চক্রে যোগ দিয়ে পাল্টা দাবি করেন, ‘‘উনি (কীর্তি আজাদ) কী বলছেন ছেড়ে দিন। উনি কে হরিদাস পাল। বর্ধমানের কে? সাত দিন অপেক্ষা করুন কাছা খুলে দেবে এখানকার লোক।’’
এ দিন সকালে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা কীর্তিকে অভ্যর্থনা জানান হুডখোলা গাড়িতে শুরু হয় পরিক্রমা। কুলচণ্ডা মহাপ্রভুতলায় ধুপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রার্থী। বড়বেলুন গ্রামে বড়মার মন্দিরে পুজো দেন। বৈঠকও করেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে। প্রাক্তন এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি নিজের বংশ পরিচয় সম্পর্কে জানান। পশ্চিম বর্ধমানের শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বার বার কীর্তি আজাদকে বহিরাগত বলে অপমানের চেষ্টা করা হলেও আমাদের পাশের রাজ্যের উচ্চ বংশের সন্তান তিনি। কীর্তি আজাদের বাবা অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীও।’’
একশো দিনের বকেয়া টাকা আটকে রাখা, চাকরি না দেওয়া, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন কীর্তি। বিজেপিকে ‘ভারতীয় ঝুটা পার্টি’, ‘ভারতীয় জুমলা পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেন। কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘এত ছক্কা আমি মারিনি, যত ওরা জুমলা করেছে। খালি বলবে, পাকিস্তানকে এই করেছি, সেই করেছি। তারপরে হিন্দু-মুসলিমদের লড়াবে, আসলে ভারতীয় জ্বলাও পার্টি। এ বার ৪২টা আসন জেতান। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন জেতান। এমন ছক্কা মারব, নরেন্দ্র মোদীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেব।’’
দুপুরে খেরুর গ্রামে এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন প্রার্থী। বিকেলে আমারুনে কর্মী-বৈঠক করেন চারটে নাগাদ কুবাজপুর বাজারে আমারুন ২ নম্বর পঞ্চায়েত এর কর্মীদের নিয়ে কর্মী বৈঠক করেন।