Jayant Sinha

লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ‘ঘর’ ভাঙল! মোদীর প্রাক্তন মন্ত্রীর পুত্র কংগ্রেসে

হাজারিবাগের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্‌হার পুত্র এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানার মন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হার পৌত্র আশির যোগ দিলেন কংগ্রেসে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ২০:৪৭
(বাঁ দিক থেকে) যশবন্ত, জয়ন্ত এবং আসির।

(বাঁ দিক থেকে) যশবন্ত, জয়ন্ত এবং আসির। — ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়খণ্ডে ধাক্কা খেল বিজেপি। মঙ্গলবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন হাজারিবাগের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্‌হার পুত্র আশির। জয়ন্তের পিতা যশবন্ত সিন্‌হা একদা অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় বিদেশ এবং অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

Advertisement

আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় হাজারিবাগ লোকসভা আসনে ভোট। মঙ্গলবার আশির সেখানকার কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ ভাই পটেলের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। ঘটনাচক্রে, ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে হাজারিবাগের মাণ্ডু কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন জয়প্রকাশ। গত মার্চ মাসে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে শামিল হন তিনি। আশিরের পিতা, বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত তার আগেই লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

আশিরের ঠাকুরদা যশবন্ত হাজারিবাগ থেকেই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতে বাজপেয়ীর সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে হেরে গেলেও ২০০৯-এ হাজারিবাগ পুনরুদ্ধার করেন যশবন্ত। ২০১৪-তে বাবার লোকসভা কেন্দ্র হাজারিবাগ থেকেই জিতে আসার পরে জয়ন্তকে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরে বিমান মন্ত্রকের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু মোদীর দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিত্ব পাননি জয়ন্ত।

বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানো যশবন্ত বিজেপি রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন মোদীর জমানায়। ২০১৮-য় বিজেপি ছাড়েন। ২০২১ সালের মার্চে নীলবাড়ির লড়াইপর্বে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। জয়ন্ত অবশ্য বিজেপিতেই থেকে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় যশবন্তকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সমর্থনও তিনি পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে হেরে যান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজয়ের পরে প্রকাশ্যে নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছিলেন যশবন্ত। সেই সঙ্গেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেছিলেন।

আরও পড়ুন
Advertisement