Agra

লক্ষ্য ১০০! ৯৮ বার ভোটে হারার পরেও জেতার আশা ছাড়েননি আগরার বৃদ্ধ হসনুরাম

তিনি উত্তরপ্রদেশের আগরার হসনুরাম অম্বেডকরী। বয়স আটাত্তর। কিন্তু উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে। এ বারও লোকসভা নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

১৯৮৫ সাল থেকে ভোটযাত্রা শুরু তাঁর। ৯৮টি ভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু কোনওটিতেই জিততে পারেননি। তবে আশাহত হননি। আশাও ছাড়েননি। ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, হেরেছেন, আবারও হারতে পারেন, এটাও জানেন, কিন্তু তার পরেও তিনি ভোটে লড়ার জন্য উৎসুক হয়ে থাকেন।

Advertisement

তিনি উত্তরপ্রদেশের আগরার হসনুরাম অম্বেডকরী। তিনি ‘ধরতি পাকড়’ নামেও এলাকায় পরিচিত। বয়স আটাত্তর। কিন্তু উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে। এ বারও লোকসভা নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হসনুরাম পেশায় এক জন দিনমজুর। তিনি বলেন, “সেঞ্চুরি করাই আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হলেই ভোটে আর লড়ব না।” তবে ভোটের জেতার আশা ছাড়ছেন না, এমনই দাবি করেছেন হসনু।

আগরার খেড়াগড়ের বাসিন্দা হসনুরাম। ১৯৮৫ সালে নির্দল হিসাবে ভোটের লড়াইয়ে নামেন। খেড়াগড়ে সেই সময় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী। হসনু বলেন, “১৯৮৫ সাল থেকে ভোটে লড়ছি। তার মধ্যে যেমন, পঞ্চায়েত, বিধানসভা, বিধান পরিষদ এবং লোকসভার ভোটও রয়েছে। এমনকি দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্যও আবেদন করেছিলাম, কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়।”

শুক্রবারই মনোনয়নপত্র তুলেছেন হসনু। আগরা এবং ফতেহপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্দল প্রার্থী হিসাবেই ভোটে লড়ে আসছেন হসনু। এ বারও তাই। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তিনি। তাঁর স্ত্রী শিবা দেবী এবং পুত্রেরাও হসনুর এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। আর্থিক ভাবে তাঁকে সহযোগিতা করছেন। হসনু বলেন, “আমার পাঁচ ছেলে। সকলেই দিনমজুরের কাজ করে। বিবাহিত। পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিরা এই লড়াইয়ে আমার পাশে রয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement