Lok Sabha Election 2024

পক্ষপাতে অভিযুক্ত অফিসারদের বদলি চাই, হাওড়ায় দাবি তুলল বামেরা

এ দিন জেলাশাসককে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত ভোটের মতো পক্ষপাতমূলক কাজ করবেন ওই সমস্ত প্রশাসনিক ও পুলিশ আধিকারিক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৫২
An image of CPM Flag

—প্রতীকী চিত্র।

নির্দিষ্ট কয়েক জন প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুলিশ আধিকারিকের বদলি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে হাওড়া জেলা বামফ্রন্ট। শুক্রবারই হাওড়ার জেলাশাসক পি দীপপ প্রিয়াকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে তারা। বদলি চাওয়ার তালিকায় তাঁদেরই নাম রয়েছে, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

এ দিন জেলাশাসককে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত ভোটের মতো পক্ষপাতমূলক কাজ করবেন ওই সমস্ত প্রশাসনিক ও পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের বদলি না করলে হাওড়ায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তুলেছে বামফ্রন্ট। বাম নেতৃত্বের এই অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জেলাশাসক।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাওড়া জেলার বিভিন্ন ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে গণনার দিন পর্যন্ত শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, মারধর, ভীতি প্রদর্শন ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। হাওড়া জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দিলীপ ঘোষ এ দিন জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে বলেন, ‘‘এই সব অভিযোগ নিয়ে দফায় দফায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কখনও লিখিত ভাবে, কখ‌নও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। কোনও লাভ হয়নি।’’

এ দিন বামফ্রন্টের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাঁকরাইল, পাঁচলা, বাগনান, আমতা থানার ওসিরা তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছিলেন। সরাসরি তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। যেমন, সাঁকরাইলে নিয়ম ভেঙে ভোট কেন্দ্রে তৃণমূল নেতাদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। অবাধে ভোট লুট করতে সাহায্য করেছে পুলিশ। অথচ, বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে যখন অভিযোগ জানাতে ফোন করা হয়েছে, তখন ফোন ধরা হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ শোনা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও বসিয়ে রাখা হয়েছিল।

এ দিন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, এ বারের লোকসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো আচরণ করবে পুলিশ। কারণ, পুলিশের ওই আধিকারিকেরাই ওই সব থানায় আছেন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের বদলি করুক নির্বাচন কমিশন।’’

বামেদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূলের সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘আসলে বামেদের সংগঠন দুর্বল। বুথে এজেন্ট বসানোর লোক নেই। তাই এ সব বাজে কথা বলে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তা ছাড়া, পুলিশ তো এখন নির্বাচন কমিশনের আজ্ঞাবহ হয়েই কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে আমাদের শাসকদলের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করছে পুলিশ।’’

আরও পড়ুন
Advertisement