Lok Sabha Election 2024

অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের দাবিদার কে, বিরোধ ফের প্রকাশ্যে

মঙ্গলবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন শান্তনুর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের কর্মকর্তারা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৬:৩৫
মমতা বালা ঠাকুর (বাঁ দিকে), শান্তনু ঠাকুর (ডান দিকে)।

মমতা বালা ঠাকুর (বাঁ দিকে), শান্তনু ঠাকুর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সঙ্ঘ তুমি কার!

Advertisement

এ বিতর্ক পুরনো। তবে ভোটের আগে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’ নিয়ে। এক পক্ষে আছেন বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর। অন্য পক্ষে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’ নামে দু’টি সংগঠন আছে। একটির সঙ্ঘাধিপতি মমতা। অন্যটির সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু। দু’পক্ষেরই দাবি, ‘প্রকৃত’ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ তাদেরই।

সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা ঠাকুর। সেখানে দাবি করেছেন, সরকারি ভাবে এবং আইনত ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’ একটিই। তিনি তাঁর সঙ্ঘাধিপতি। তাঁর অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের রেজিস্ট্রেশন নম্বর আছে। তিনি আয়কর জমা দেন। কিন্তু বনগাঁর বিজেপির শান্তনু গায়ের জোরে বেআইনি ভাবে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’ নাম দিয়ে আর একটি সংগঠন চালাচ্ছেন।

মঙ্গলবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন শান্তনুর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের কর্মকর্তারা। মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন গাইন বলেন, ‘‘মমতা ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ ভুয়ো। তিনি আগে আইনগত ভাবে প্রমাণ করে আসুন, তাঁর কমিটি বৈধ। সঙ্ঘাধিপতি কোনও সাংগঠনিক পদ নয়। মতুয়া ভক্তেরা সসম্মানে কাউকে নির্বাচিত করেন। মমতা ঠাকুর নিজেকে যে সঙ্ঘাধিপতি বলে দাবি করছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত দাবি।’’

সোমবার মমতা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তাঁরা জানতে পেরেছেন, একটি ব্যাঙ্কের গাইঘাটার চাঁদপাড়া শাখায় মমতা ঠাকুরদের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শান্তনু ঠাকুর প্রায় ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকা অবৈধ ভাবে জমা করিয়েছেন। এই টাকার উৎস খুঁজে বের করুক পুলিশ, দাবি তোলেন মমতা। তদন্ত চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান।

সুখেন এ দিন বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। মমতা ঠাকুর আগে প্রমাণ করুন, কোন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ বৈধ আর কোনটা নয়।’’ ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে অনিমেষ বালা বলেন, ‘‘মতুয়া মহাসঙ্ঘের নিয়মে আছে, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পরিচালনার দায়িত্ব ঠাকুর পরিবারের উত্তরসূরিদের। সেখানে পুত্রবধূদের জায়গা নেই।’’

মমতা ঠাকুর এ দিন বলেন, ‘‘শান্তনু ব্যাঙ্কে যা টাকা রেখেছেন, তা দুর্নীতির টাকা। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চাইছি।’’ এ নিয়ে অনিমেষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মমতা ঠাকুরের স্বামী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের অস্বাভাবিক ও অকাল মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত হোক আগে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement