Lok Sabha Election 2024

শিলিগুড়িতে শিখাকে দেখে স্লোগান তৃণমূলের, পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী

শিখার অভিযোগ, তৃণমূলের কাউন্সিলর বুথে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। যদিও অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। পাল্টা বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তৃণমূলের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৯
বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে স্লোগান তৃণমূলের।

বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে স্লোগান তৃণমূলের। — নিজস্ব চিত্র।

আবার শিরোনামে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। বিকেলে একটিয়াশালে একটি স্কুলে ঢুকে পড়েন তিনি। বুথ থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব রাখলেও শিখাকে দেখেই স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন শিখার অনুগামীরাও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শিখা এলাকা থেকে বেরিয়ে যান। বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

সকালে তাঁকে ঘিরে তুলকালাম বেধেছিল শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। মেয়র গৌতম দেবের নিজের ওয়ার্ডে শিখাকে ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবারও বিতর্কে জড়ালেন শিখা। এ বার ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ড। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একটিয়াশাল তিলেশ্বরী হাই স্কুলে পৌঁছন শিখা। তবে, এ বার আর বুথের ধারে কাছে যাননি বিজেপি বিধায়ক। দূরে দাঁড়িয়েই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভাব-অভিযোগের কথা শুনে শিখা বলেন, ‘‘এলাকার কাউন্সিলর সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’’

এ দিকে, শিখা এসেছেন শুনেই চারপাশ থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা হাজির হতে থাকেন হাই স্কুল চত্বরে। তাতে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। স্কুলের গেটের বাইরে থেকে শিখাকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল। পাল্টা স্লোগানেই জবাব দেন শিখার অনুগামীরাও। এতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে শিখাকে দেখা যায় এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই এলাকায় ঢুকে পড়ে ভক্তিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তাঁরা লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেন। তাতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

তৃণমূলের বুথের দ্বায়িত্বে থাকা মন্টু সাহা বলেন, ‘‘এখানে কোনও নির্বাচনেই সমস্যা হয় না। বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় নিজের গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে সমস্যার সৃষ্টি করছেন৷ দলের কোনও নেতা এখানে আসেননি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় ভোট হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement