Lok Sabha Election 2024

কলকাতার ভোট বৈতরণী পার করতে এলেন রাজ্য পুলিশের চার হাজার কর্মী

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকার ভোট স্থানীয় পুলিশবাহিনীকে দিয়েই করানো হয়েছে এত দিন। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে কলকাতা পুলিশ এলাকার জন্য রাজ্য পুলিশ থেকে বাহিনী আনার প্রয়োজন পড়েনি।

Advertisement
শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ০৮:১৪

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কলকাতা পুলিশ এলাকার ভোট নির্বিঘ্নে পার করাতে রাজ্য পুলিশ থেকে চার হাজার কর্মী ও
অফিসারকে আনা হল কলকাতায়। যাঁদের মধ্যে এক হাজার মহিলা পুলিশকর্মী।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকার ভোট স্থানীয় পুলিশবাহিনীকে দিয়েই করানো হয়েছে এত দিন। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে কলকাতা পুলিশ এলাকার জন্য রাজ্য পুলিশ থেকে বাহিনী আনার প্রয়োজন পড়েনি। সেই পরম্পরা ভেঙে এ বারই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিলেন লালবাজারের কর্তারা।

উল্লেখ্য, মহিলা পুলিশকর্মীর অপ্রতুলতার জন্য ২০১৯ সাল থেকে ধাপে ধাপে রাজ্য পুলিশের পাঁচশো মহিলা কনস্টেবলকে ডেপুটেশনে নিয়েছে লালবাজার। এক পুলিশকর্তা জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ওই বাহিনীর শহরে চলে আসার কথা। তার পরেই ভোটের ডিউটির জন্য তাঁদের কলকাতা পুলিশের সব থানা এবং ডিভিশনে পাঠানো হবে। মহিলা পুলিশকর্মীদের মহিলা বুথে ডিউটির জন্য পাঠানো হবে।

পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন পদে নিয়োগ না হওয়ায় বাহিনীতে কর্মী-সংখ্যা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের মতো বিরাট অঞ্চল কলকাতা পুলিশের অধীনে চলে আসায় তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার আয়তন দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে, ২০২১ সালের তুলনায় ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা
পুলিশের সব স্তর মিলিয়ে কর্মী থাকার কথা মোট ৩৫ হাজার ৮৯১ জন। গত ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশে কর্মী-অফিসার রয়েছেন ২২ হাজার ৯১৬ জন। অর্থাৎ, বাহিনীতে ওই সময়ে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৯৭৫।

আবার কলকাতা পুলিশের একটি দল ভিন্ রাজ্যে ভোট পরিচালনা করতে গিয়েছে। পুলিশের একটি অংশের দাবি, সেই খামতি মেটাতেই রাজ্য পুলিশের বাহিনীকে ভোটের জন্য আনা হয়েছে কলকাতায়।

অন্যান্য বারের মতো এ বারের ভোটেও বুথ এবং ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপরে। এ ছাড়া, আইনশূঙ্খলা রক্ষার জন্য কিউআরটি এবং বিশেষ কিউআরটি নিয়ে এলাকায় টহল দেবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ওই বাহিনী ছাড়া আইনশূঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকছে স্থানীয় কলকাতা পুলিশের হাতে। সে কথা মাথায় রেখেই লালবাজারের তরফে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে একাধিক স্তরে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। রাখা হচ্ছে ডিভিশন এবং থানায় স্ট্রাইকিং ফোর্স।

শনিবারের ভোটে রাজ্য পুলিশের ওই বাহিনীকে ডেসপ্যাচ সেন্টার থেকে ইভিএম নিয়ে যাওয়া বা পিকেট ডিউটি— সব কাজেই লাগানো হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন
Advertisement