ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
বিশেষ ট্র্যাকে ৬০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছুটবে গাড়ি। বিশেষ চৌম্বকীয় শক্তি এবং বিদ্যুৎশক্তির সাহায্যে পণ্যবাহী পরিবহণ চালাতে ওই ট্র্যাকের পরীক্ষামূলক গবেষণা চলছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), মাদ্রাজে। আনুষ্ঠানিক ভাবে শনিবার আইআইটি মাদ্রাসের ডিসকভারি ক্যাম্পাসের ওই ট্র্যাকে বিশেষ মহড়াও করলেন পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে ৪১০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ট্র্যাক এশিয়ার দীর্ঘতম হাইপারলুপ ট্র্যাক হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। দ্রুতই পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্র্যাক হিসাবে এর উত্তরণ হতে চলেছে। পরিবহণ এবং গতির দুনিয়ায় এই বিশেষ ট্র্যাক এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে আইআইটি মাদ্রাজের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রকল্পটিতে কাজ করছে রেল মন্ত্রক।
ছবি: আইআইটি মাদ্রাজের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
পরবর্তী কালে হাইপারলুপ ট্র্যাকে চলবে, এমন ট্রেনের কোচ চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হবে। এর বিশেষত্ব, সাধারণ ট্রেনের মতো একাধিক কামরা নয়, বরং একটি মাত্র কামরা থাকবে। লো-প্রেশার টিউবের মধ্যে বিদ্যুৎশক্তিতে চালিত এই ট্রেন চৌম্বক শক্তির প্রভাবে লাইন থেকে খানিকটা উপরে উঠে চলবে। এর পর ধীরে ধীরে গতি বৃদ্ধি করে এগোতে থাকবে। বায়ুহীন ওই টিউবের কারণে অতিদ্রুত গতিতে ট্রেন ছুটবে।
আইআইটি মাদ্রাজের তরফে তিনটি আলাদা আলাদা ফরম্যাটে এই টিউব চালু করার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে গবেষণা চলছে। পড-অন-ট্র্যাক মোডে ২০০ কিমি, ম্যাগনেটিক লেভিটেশন মোডে ৪০০ কিমি এবং ভ্যাকিউম টিউব মোডে ৬০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে কী ভাবে ট্র্যাকে ট্রেন চলবে, তা নিয়ে কাজ করছেন পড়ুয়ারা।
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
তবে শুধু গণপরিবহণ হিসাবে নয়, বাণিজ্যিক কাজেও যাতে এই বিশেষ ট্র্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে, তা নিয়েই মূলত কাজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে বন্দর এবং বিমানবন্দরে এই ট্র্যাক ব্যবহার করা হবে। এর জন্য পরবর্তী দু’মাসের মধ্যে বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষরও করা হবে।