ISC Topper 2025

৪০০-য় ৪০০! রাজ্য থেকে আইএসসিতে প্রথম কলকাতার সৃজনী

আইসিএসই-তে এ রাজ্য থেকে ছাত্রীদের পাশের হার ৯৯.০৪ শতাংশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৮
Srijani

সৃজনী। নিজস্ব চিত্র।

৪০০-এ ৪০০। কোনও ভুলচুক নেই! একেবারে পুরো নম্বর পেয়ে আইএসসিতে প্রথম কলকাতার মেয়ে সৃজনী। এ বছরের ফলাফলে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে মেয়েদের জয়জয়কার। রাজ্যের মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া ফল সৃজনীর।

Advertisement

রিজেন্ট পার্কের ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের পড়ুয়া সৃজনী। ছোট থেকে একই স্কুলে পড়েছেন। দ্বাদশে পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং রসায়নের পাশাপাশি ইংরেজি ছিল আবশ্যিক বিষয়। প্রতিটিতেই তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১০০-এ ১০০। স্বভাবতই আনন্দে উদ্বেল সে। বলল, “পরীক্ষার ফল যে ভাল হবে, সেটা আশা করেছিলাম। কিন্তু ইংরেজিতেও ১০০-এ ১০০ পাব, সেটা একদমই ভাবিনি! এতই অবাক হয়েছি, মা-কে বলছিলাম রেজ়াল্টের পেজটা রিফ্রেশ করতে।”

প্রগতিশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা সৃজনীর কোনও পদবি দেননি তাঁর অভিভাবক। জাতপাতের ঊর্ধ্বে মেয়েকে বড় করেছেন। মা গুরুদাস কলেজের ইতিহাস শিক্ষিকা এবং বাবা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট কলকাতার গণিতের অধ্যাপক। মেয়ের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। কী বললেন তাঁরা? মায়ের কথায়, “ও বলেছিল ভালই পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু ইংরেজি নিয়ে আমরাও দ্বিধায় ছিলাম। ৪০০-৪০০-ই পেয়ে যাবে ভাবিনি।” তবে, এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মেয়েকেই দিয়েছেন তিনি। জানান, ওকে পড়ার জন্য কখনও বলতে হয়নি। রসায়নের জন্য একজন গৃহশিক্ষক থাকলেও বাকি বিষয় ও বাবার কাছেই পড়ত।

কী ভাবে এল এই সাফল্য? কেমন ছিল প্রস্তুতি? সৃজনী বলল, “আমি কখনও ঘড়ি ধরে পড়তাম না। কিন্তু যখন পড়তাম, মন দিয়ে পড়তাম। বরাবরই বিষয়ের মর্মবস্তু বোঝার চেষ্টা করতাম।” শুধুই কি দিনরাত পড়াশোনা, নাকি পড়ার ফাঁকে অন্য কিছুও করত সে? তাঁর কথায়, “একেবারেই না, আমি তো পড়ার ফাঁকে ফাঁকে দিদি, মা, বাবা-র সঙ্গে আড্ডা মারতে খুব ভালবাসি। আর ভাল লাগে নাচ। স্কুলেও অনুষ্ঠান করেছি। কিন্তু দ্বাদশের পড়াশোনার চাপে আর তেমন অনুশীলন করতে পারনি। তখন তাই গান শুনতাম পড়ার ফাঁকে।”

Srijani

পরিবারের সঙ্গে সৃজনী। নিজস্ব চিত্র।

পড়াশোনার আবহে বেড়ে ওঠা মেয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) মেন-এ ৯৯.৫ এনটিএ স্কোর পেলেও ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় না। বাবার মতো গণিত অথবা পদার্থবিদ্যা-র মতো ‘বেসিক সায়েন্স’-এ গবেষণা করতে চায় সে। ইচ্ছে আইআইএসসি বেঙ্গালুরু, আইআইএসইআর বা আইএসআই কলকাতা-র মতো প্রতিষ্ঠানে পড়ার। আপাতত আনন্দের মধ্যেই গবেষক হওয়ার স্বপ্ন বুনছে সৃজনী।

উল্লেখ্য, এ বছর সিআইএসসিই-র দ্বাদশের ফল পরীক্ষা শেষের ২৫ দিনের মাথায় প্রকাশ করা হল। চলতি বছরের পরীক্ষার ফলাফলে নজর কেড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পরীক্ষাতে পাশের হারে রাজ্যের ছাত্রীরা ছাত্রদের টেক্কা দিয়েছে। আইসিএসই-তে এ রাজ্য থেকে ছাত্রীদের পাশের হার ৯৯.০৪ শতাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন