Burdwan University PhD Admission

পিএইচডি-তে ভর্তির প্রাথমিক মেধাতালিকায় ধর্মের উল্লেখ! বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে বিতর্ক

হঠাৎ কেন ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করা হল প্রাথমিক মেধাতালিকায়? জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক (কন্ট্রোলার অফ এগজ়ামিনার), আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁদের ফোন বেজে গিয়েছে, উত্তর মেলেনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১৪
Mention of religion in the Burdwan University\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s Provisional Broad List of Applicants sparks controversy

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক মেধাতালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করা হবু গবেষকদের নামের পাশে তাঁদের লিঙ্গ এবং জাতের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে ধর্মেরও। সাধারণত প্রশাসনিক কাজ কিংবা তথ্য সংগ্রহের জন্য আবেদনের সময় আবেদনকারীর থেকে ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়ে থাকে। তবে প্রাথমিক মেধাতালিকায় তা উল্লেখ থাকার নিদর্শন বিরল। হঠাৎ কেন ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করা হল মেধাতালিকায়? জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক (কন্ট্রোলার অফ এগজ়ামিনার), আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁদের ফোন বেজে গিয়েছে, উত্তর মেলেনি।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দ তনভির নাসরিন জানিয়েছেন, আলাদা করে ধর্মের বিষয়টি গবেষকের পরিচিতির সঙ্গে উল্লেখ করার কোনও গুরুত্ব নেই। এই বিষয়ে সরব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশের মতে, মেধাতালিকায় ধর্মীয় পরিচয়ের উল্লেখ সংযুক্ত করার কোনও যুক্তি নেই।

Mention of religion in the Burdwan University's Provisional Broad List of Applicants sparks controversy.

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক মেধাতালিকায় হবু গবেষকদের নামের পাশে তাঁদের লিঙ্গ এবং জাতের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে ধর্মেরও। ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক অধ্যাপকের নিশানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর কথায়, “যোগ্যতার মানদণ্ডের সঙ্গে ধর্ম উল্লেখ করার নেপথ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মানসিকতার অন্য দিক প্রকাশ পাচ্ছে। এই বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার। এতে আখেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ প্রথমে জানান, এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে তালিকা তৈরি করা হয়নি। তাই এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। পরে তিনি বলেন, “কম্পিউটারের যে সফট্অয়্যার ব্যবহার করা হয়, তার সাহায্যে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাতেই সম্ভবত ‘ধর্ম’ সম্পর্কিত কলামটি ছিল। এর সঙ্গে গবেষকদের মেধা বা যোগ্যতা যাচাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তা ছাড়াও পড়ুয়াদের ধর্ম কী, সেটা জেনেই বা কী ক্ষতি হবে?” উপাচার্য এও জানিয়েছেন, চূড়ান্ত তালিকায় যাতে এই কলামটি না থাকে, তা সুনিশ্চিত করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, হিন্দু এবং মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত, তার তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকাতে ধর্মের কলামটি যোগ করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার আবহে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত শিক্ষামহলের একাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন