নিজস্ব চিত্র।
“দর্শনে ভীতি নয় অভ্যাস প্রয়োজন”
দৃষ্টিভঙ্গিকে সহজ ভাবে প্রকাশের জন্য দর্শন অন্যতম একটি চর্চার বিষয়। মানুষের জাগতিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক, নৈতিক, তাত্ত্বিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে দর্শন। তবে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দর্শন নতুন বিষয় হওয়ায় পড়ুয়ারা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তবে, পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে দুশ্চিন্তার থেকে বিভিন্ন নিয়মাবলির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে অভ্যাস করলেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। উল্লেখ্য, ১০ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিকের দর্শন পরীক্ষা হবে।
২০২৫-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এই সময়ে পরীক্ষা নিয়ে ভয় থাকাটা স্বাভাবিক। তবে, সঠিক পদ্ধতিতে অভ্যাস ও নিয়মিত টেস্ট পেপার সমাধান করলে এই ধরনের সমস্যার সমাধান সম্ভব। শিখে রাখা অধ্যায়গুলির উপরে বিশেষ ভাবে জোর দিয়ে চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে সারা বছরের প্রস্তুতিতেও শেষ মুহূর্তের জন্য চোখ বুলিয়ে দেখে নিতে হবে।
নিজস্ব চিত্র।
রাত জেগে না পড়াই ভাল। বরং সকালবেলায় উঠে লজিকের অভ্যাস করলে বেশির ভাগটাই চর্চা করা যাবে। এতে, সবটা মনে রাখতেও সুবিধা হবে। নিয়ম করে টেস্ট পেপারের প্রশ্নগুলির সমাধান করতে পারলে পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর লেখা শেষ করতে পারবে। একই সঙ্গে লজিকের অভ্যাস আরও দৃঢ় হবে। এ ছাড়াও সময় ধরে টেস্ট পেপার সমাধান করা দরকার, যাতে পরীক্ষায় লেখার সময়ে ভাগ করে নিতে অসুবিধা না হয়।
টেস্ট পেপার সমাধান করতে করতেই বোঝা যায়, কোন কোন অধ্যায় এখনও রপ্ত করা যায়নি। তাই সেই অধ্যায়গুলি আরও এক বার রিভিশন দেওয়া যেতেই পারে।
যে অধ্যায়গুলি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, তাতেই বেশি জোর দিতে হবে। এখানে বলা প্রয়োজন, দর্শনের সঙ্গে গণিতের মিল আছে। গণিতের মতোই সূত্র মেনে দর্শন সঠিক ভাবে অভ্যাস করলে পুরো নম্বর পাওয়া সম্ভব। এর জন্য লজিক সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লিখে আসা প্রয়োজন। এ ছাড়াও যে কোনও প্রশ্নের উত্তরে বাড়তি কথা না লিখে, বিশেষ পয়েন্টগুলি লিখতে পারলে, নম্বর বাড়বে। আর লজিক সঠিক পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লিখে আসতে পারলে পুরো নম্বর পাওয়া যাবে। তাই পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে টেস্ট পেপারও নিয়মিত চর্চা করে নিতে হবে।
পরীক্ষার সময়ে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের মধ্যে লজিকের প্রশ্ন আগে লিখে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। সঠিক নিয়মে লজিক সম্পূর্ণ করলে যেমন পুরো নম্বর থাকবে, আবার নিয়ম ভুল করলে নম্বরও বাদ পড়বে। কেউ বিকল্প প্রশ্নের উত্তর লিখতে চাইলে, তা সুন্দর ভাবে ভাগ ভাগ করে লিখতে হবে। কারণ, এই ধরনের প্রশ্নের ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপ সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য নম্বর থাকে। তাই নিজের উত্তরের বিষয়বস্তু খুবই স্পষ্ট রাখা প্রয়োজন।
একাধিক বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে প্রথমে ভাল করে নির্দেশিকা পড়ে নিতে হবে। তার পরে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে সুন্দর ভাবে লিখতে হবে। কোনও উত্তর লেখার সময়ে যদি মনের মধ্যে সংশয় থাকে, তা হলে সেই উত্তর না লেখাই শ্রেয়। কিন্তু কোনও উত্তর মনে পড়ছে না বলে ভয় পেয়ে সেই প্রশ্নে থেমে থাকলে সময় নষ্ট হবে।
প্রতীকী ছবি।
সংক্ষিপ্ত উত্তরের প্রশ্নের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। খাতায় খুব বেশি কাটাকুটি করলে সমস্যা হতে পারে। কারণ পরীক্ষার্থীর খাতাই তার পরিচয়। তাই অবান্তর কথা লিখে খাতা নষ্ট করা যাবে না। খাতা যত সুন্দর থাকবে তোমার উত্তর ততটাই স্পষ্ট হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেও কিছু পরামর্শ রইল। তাঁরা যেন এই সময়ে পরীক্ষার্থীদের উপরে অযথা বেশি চাপ না দেন। সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া, ঘুমোনো কিংবা পড়াশোনা নিয়ে অতিরিক্ত চাপ দিলে বাচ্চাদের মনে ভয় চেপে বসবে। বরং এই সময়টা তাদের মানসিক ভাবে দৃঢ় করার চেষ্টা করুন, যাতে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।