Old houses

সম্পাদক সমীপেষু: বিস্মৃতির পথে

কলকাতা বলতে এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে উত্তর কলকাতার নানা ছবি। সেখানের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘরবাড়ি— জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, শোভাবাজার রাজবাড়ি, আরও কত কিছু।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ০৬:০০
An image of the broken house

ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা বা শহরতলির নানা জায়গায় একের পর এক পুরনো বাড়ি। —ফাইল চিত্র।

রোজ দেখছি ভাঙছে, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা বা শহরতলির নানা জায়গায় একের পর এক পুরনো বাড়ি। তার সঙ্গে মুছে যাচ্ছে সে সব বাড়ির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাড়ির ইতিকথা। মুছে যাচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দাদের ইট-কাঠ-পাথরে বন্দি থাকা কর্মকাণ্ডের স্মৃতি, তাঁদের পারিবারিক আনন্দ, ব্যথা-বেদনা। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাঁদের আম-কাঁঠালের বাগানও। সে জায়গায় গড়ে উঠছে ঝাঁ-চকচকে আধুনিক সব বহুতল। এক পরিবারের জায়গায় এসে বাসা বাঁধছে একাধিক পরিবার। একাধিক ভাষাভাষী মানুষের সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে সেখানে এক নতুন সংস্কৃতি।

কলকাতা বলতে এখনও চোখের সামনে ভেসে ওঠে উত্তর কলকাতার নানা ছবি। সেখানের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘরবাড়ি— জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, শোভাবাজার রাজবাড়ি, মল্লিক বাড়ি, লাহা বাড়ি, ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ি, মিনার্ভা থিয়েটার, স্টার থিয়েটার আরও কত কিছু। এ সব বাড়ি বাঙালির জীবনের নানা ঘটনার সাক্ষী, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রও। এগুলোও আর আগের অবস্থায় নেই। গত কয়েক দশকে ভেঙেচুরে এদেরও চেহারায় দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। যার ফলে মুছে গিয়েছে ঐতিহাসিক নানা ঐতিহ্য, নানা স্মৃতি। ভোগবাদী বাঙালি এই বাড়িগুলোকে ঠিক ভাবে যত্ন করে রাখতে পারেনি। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে রাখার চেষ্টা করেনি প্রশাসনও।

Advertisement

এটা হল একটা দিক। অন্য দিকে, এক শ্রেণির মধ্যবিত্ত বাঙালি আছেন, যাঁরা অর্থের লোভে বা অভাবের তাড়নায় তাঁদের পূর্বপুরুষের বসতবাড়ি ও ভিটেজমি বিক্রি করে স্বল্প পরিসরের ফ্ল্যাটে থাকতে পছন্দ করছেন। এই সমস্ত নানা কারণে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কলকাতার পুরনো বাড়িগুলোর অস্তিত্ব হয়তো বিলীন হয়ে যাবে। তার পরিবর্তে সেখানে দেখা যাবে বহুতলের আকাশচুম্বী মাথাগুলো। বাঙালির অহঙ্কারের ঘরবাড়িগুলি কলকাতার ইতিহাস থেকে আস্তে আস্তে মুছে যাবে তা হলে?

অমরনাথ করণ, কলকাতা-৬০

অ-সভ্যতা

আমাদের বাড়ির সামনে একটা চার কাঠা জমি ফাঁকা অবস্থায় গত ৫০ বছর ধরে পড়ে আছে। যার বাকি তিন দিকে যথাক্রমে একটি চার তলা ফ্ল্যাট, একটি দোতলা বাড়ি ও একটি এক তলা বাড়ি আছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দোতলা বাড়ির বাসিন্দারা জানলা থেকে প্যাকেটে করে ময়লা ও আবর্জনা নিত্য ওই ফাঁকা জমিতে ফেলে আসছেন। ফলে সেখানে আবর্জনার স্তূপ গড়ে ওঠে, দুর্গন্ধ বেরোয়, যা অস্বাস্থ্যকর এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের অসুবিধার সৃষ্টি করে। এমন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়, দুর্ভাগ্যজনক এবং অনভিপ্রেত।

এই এলাকায় কিন্তু পুরসভার ময়লা ও আবর্জনা সংগ্রহ করার গাড়ি রোজ সকালে আসে এবং সেখানে ওই বাসিন্দারা ছাড়া অন্য সব বাড়ির বাসিন্দারাই তাঁদের বাড়ির ময়লা ওই গাড়িতে জমা করেন। এ ব্যাপারে ওই বাসিন্দাদের অনুরোধ সত্ত্বেও, তাঁরা দিনের পর দিন একই কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় এক বছর আগে কোন্নগর পুরসভাকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করায়, তারা ফাঁকা জমিতে জমে থাকা সমস্ত ময়লা ও আবর্জনা গাড়ি করে তুলে নিয়ে যায় ও জায়গাটিকে পরিষ্কার করে দেয়। পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকরা ওই বাসিন্দাদের ফাঁকা জায়গায় ভবিষ্যতে ময়লা ও আবর্জনা ফেলতে বারণও করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই বাসিন্দারা সে কথায় কান দেননি এবং পরের দিন থেকেই আবার আগের মতো উপরের জানলা দিয়ে ময়লা ও আবর্জনা ফেলা শুরু করেন। ফলে আবার ময়লা ও আবর্জনা স্তূপীকৃত হচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির উপদ্রব বাড়ছে।

কোন্নগর পুরসভা ও আমাদের তরফে তাঁদের কয়েক বার বারণ করা সত্ত্বেও তাঁরা এই অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন। এমন কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য পুনরায় পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

পঙ্কজ সেনগুপ্ত, কোন্নগর, হুগলি

নতুন বিপদ

ইদানীং যানবাহনের ক্ষেত্রে নতুন বিপদ হয়েছে স্পিড ব্রেকার। শুধু পঞ্চায়েত এলাকা বা পুরসভার তদারকিতে তৈরি রাস্তাই নয়, যাত্রিবাহী গাড়ি চলাচলকারী ব্যস্ত রাজ্য সড়কেও যত্রতত্র স্পিড ব্রেকার তৈরি করা হয়েছে, ট্র্যাফিক আইনকে মান্যতা না দিয়েই। কোথাও আবার একই জায়গায় অনেক স্পিড ব্রেকার বানানো হয়েছে। কোথাও কোনও কালার কোড বা ট্র্যাফিক সিগন্যালের বালাই নেই। প্রায় দিনই এর জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে, বিশেষত মোটরবাইকে। মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনা না ঘটলেও হাত-পা ভাঙা কিংবা গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে প্রায়শই। তাই উপযুক্ত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছি।

শোভনকুমার সাঁতরা, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর

বাইক দৌরাত্ম্য

ই এম বাইপাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। বহু যানবাহন-সহ দু’চাকার আরোহীরাও এনএসসি বোস রোডের ভিড় এড়ানোর জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এর ফলে পাটুলি বা ঢালাই ব্রিজ থেকে সরাসরি বারুইপুর যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় যথেষ্ট সাশ্রয় হয়। কিন্তু এই পথে বেশ কিছু দিন ধরে চলছে এক অদ্ভুত উপদ্রব। প্রায় দিনই এক দঙ্গল ছেলে শুরু করে নিজেদের মধ্যে দু’চাকার প্রতিযোগিতা। এদের মধ্যে অনেকেই থাকে মদ্যপ অবস্থায়। সন্ধ্যা হতে না হতে শুরু হয় গতির খেলা, চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এর ফলে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

এ ছাড়াও আছে শব্দের অত্যাচার। অনেক বাইকেই সাইলেন্সার পাইপের বালাই থাকে না। ফলে আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দোকানদাররা। আছে অন্য একটি সমস্যাও, যা আরও ভয়ঙ্কর। নরেন্দ্রপুর অভয়ারণ্য থেকে শুরু করে বারুইপুর পর্যন্ত ই এম বাইপাসের ধারে রয়েছে ঝোপ জঙ্গল এবং পরিখা। যেখানে বেজি, ভাম বিড়াল, গোসাপ জাতীয় প্রাণীর বসবাস। রাস্তা পার হতে গিয়ে মত্ত চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রায়শই এদের প্রাণ যায়। মোট কথা, বেপরোয়া গতির তাড়নায় বিপর্যস্ত জনজীবন থেকে প্রাণীরা। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টির দিকে দ্রুত নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

রাজীব রায় গোস্বামী, রাজপুর , দক্ষিণ ২৪ পরগনা

বেআইনি ভ্যাট

রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ সংস্থা এবং জুনিয়র বেসিক স্কুলের মাঝামাঝি বেআইনি ভ্যাট এবং ডাস্টবিন দীর্ঘ দিন ধরে গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং দূষণ বাড়াচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলাচল অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, জনস্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদে স্কুলের পাশে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হোক। এ বিষয়ে বহু বার খড়দহ পুরসভা এবং ব্যারাকপুরের ডিএম-এর কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। মিশন কর্তৃপক্ষ জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সাম্প্রতিক কালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে জানানোর উদ্যোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু পরিকল্পনা আশা করছি, যাতে এই সমস্যা থেকে শীঘ্র মুক্তি পাই।

শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-১১৮

যাত্রা বৃদ্ধি

অসমের গুয়াহাটি ও উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি পুরী যাওয়ার ট্রেন খুব কম। সেই কারণে পুরী-কামাক্ষ্যা ১৫৬৩৯/৪০ এবং ১৫৬৪৩/৪৪ ট্রেন দুটোর যাত্রার দিন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এতে দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকদের অসম ও আলিপুরদুয়ার ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

নির্মাল্য রায়, আমতা, হাওড়া

আরও পড়ুন
Advertisement