Street Lights

সম্পাদক সমীপেষু: আলোর ব্যবস্থা

বেশ কয়েক মাস হল এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ, উত্তর দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়র্ড এবং ১৯ নম্বর ওয়র্ডের একাংশ অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকছে। উত্তর দমদম পুরসভাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে সমস্যাটির কথা লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৪ ০৬:১৩

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যখন ২০০৮ সালে চালু হয়, তখন আলোয় ঝলমল করত রাস্তা। কয়েক বছর পরে হঠাৎ পুরো রাস্তা জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে, সব আলো নিবে যায়। রাস্তায় অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অসামাজিক কাজকর্ম, দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে অনেক লেখালিখি, খবর হয়। পরে জানা যায় যে সিইএসসি-তে অনেক টাকা বিল বাকি থাকার জন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়। সমস্যাটা ছিল বিদ্যুতের বিল মেটাবে কে, তাই নিয়ে। প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত হয় যে, এই রাস্তাটি ৫টি পুরসভার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। যে পুরসভার অংশ দিয়ে রাস্তা গিয়েছে, সেই পুরসভা বিদ্যুতের বিল মেটাবে। স্থানীয় সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয় এবং পুরো বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে-তে আবার আলো জ্বলে ওঠে।

Advertisement

বেশ কয়েক মাস হল এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ, উত্তর দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়র্ড এবং ১৯ নম্বর ওয়র্ডের একাংশ অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকছে। উত্তর দমদম পুরসভাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে সমস্যাটির কথা লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। রাতের বেলা খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে এই অঞ্চল। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে প্রতি মুহূর্তে। ট্র্যাফিক পুলিশ যাঁরা অন্ধকারে ডিউটি করেন, তাঁদেরও বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া রয়েছে যাঁরা এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন, বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুরা, তাঁদের নিরাপত্তার প্রশ্নও।

কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এই রাস্তায় আলোর সমস্যার সমাধান করুন এবং রাতে সবাই যাতে নিরাপদে এই রাস্তায় চলাচল করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করুন।

সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১

জলসঙ্কট

গত ১০-১১ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বহু গ্রামীণ এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। হাওড়া জেলার বালি গ্রামাঞ্চল, বিশেষ করে সাপুইপাড়া-বসুকাটি এবং নিশ্চিন্দা পঞ্চায়েত এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থা এখন এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, শুধু বর্ষাকাল নয়, সারা বছর বহু এলাকা জলমগ্ন থাকে। নিকাশিনালা যেটুকু আছে, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির বেহাল অবস্থা। নালা উপচে নোংরা জল সংলগ্ন রাস্তা এবং বাড়িগুলিতে ঢুকছে। এই অবস্থা আরও হয়েছে গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নের নামে বহুতল আবাসন নির্মাণের প্রতিযোগিতার ফলে। আগে জানতাম যে, পঞ্চায়েত এলাকায় চার তলা অর্থাৎ (জি+৩) পর্যন্ত আবাসন নির্মাণের অনুমতি আছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পাঁচ তলা, ছ’তলা (জি+৪, জি+৫) সমান একের পর এক আবাসন নির্মিত হচ্ছে। যত দূর জানি, পঞ্চায়েত এলাকায় আবাসন নির্মাণের প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয় জেলা পরিষদ। এই সব বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না কে জানে। যদি হয়েও থাকে, তবে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, নিকাশি ব্যবস্থা-সহ উপযুক্ত পরিকাঠামো বা বহুতল আবাসন নির্মাণ সম্ভব কি না, বিবেচনা না করেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সহজ হিসাব যে, একটি তিন বা সাড়ে তিন কাঠার জমিখণ্ডে বসবাসকারী একটি বা দু’টি পরিবারের ব্যবহৃত জলের পরিমাণ যা ছিল, ওই জমিখণ্ডে নির্মিত বহুতল আবাসনের পরিবারের সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবহৃত জলের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। ফলে নালার ধারণ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি জল নালায় ঢোকায় এবং ঠিকঠাক নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় জল জমার সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রদীপ চক্রবর্তী, সাপুইপাড়া, হাওড়া

বাস কম

বেশ কিছু দিন ধরে বেহালা থেকে কাঁকুড়গাছিগামী এস ৩বি বাসের পরিষেবা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সকালে এবং বিকেলে অফিস টাইমে যা নিত্যযাত্রীদের এক দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দাঁড় করিয়েছে। একে বাস কম, তার উপর নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে গাড়ি না চলার কারণে মানুষ প্রতি দিন বিপদে পড়ছেন। আর এই অবস্থাকে আরও জটিল এবং বিপজ্জনক করে তুলেছে ভরা অফিস টাইমে এক মিনিবাসকে এই রুটে চালানোর ফলে। এমনিতেই এস ৩বি রুটে যাত্রী-সংখ্যা অত্যন্ত বেশি, তুলনায় গাড়ি কমছে, তার উপর ওই ছোট বাস, সব মিলিয়ে এক বিপজ্জনক ভিড় এবং গাদাগাদি অবস্থার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। মধ্যবর্তী স্টপ থেকে মানুষের পক্ষে বাস ধরাই অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সকালের দিকে যদি বা বাস চলে, সন্ধেবেলা বাসের সংখ্যা আরও কমে আসে। বাসস্ট্যান্ডে থাকা ডব্লিউবিটিসি-র কর্মচারীরাও গাড়ি না থাকার কারণে অকারণে নিত্যযাত্রীদের রোষের মুখে পড়েন, অথচ এই গোটা অচলাবস্থায় তাঁদের প্রায় কিছুই করার থাকে না। এবং বাসস্ট্যান্ডে বাস না থাকার ফলে সন্ধের পর বাসস্ট্যান্ডটি হয়ে ওঠে স্থানীয় বেহালা বাজারে বাজার করতে আসা মানুষের গাড়ি এবং বাইক পার্কিং করার জায়গা। এই বিষয়ে ডব্লিউবিটিসি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এবং আশা করছি তাঁদের তরফ থেকে বাস পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং এই বেআইনি পার্কিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ তাড়াতাড়ি করা হবে।

রাজা অভিষেক, কলকাতা-৩৪

‘হাওয়াই’ কেন?

কলকাতা বিমানবন্দরে নতুন ‘এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার’ নির্মিত হয়েছে। যদিও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু প্রভৃতি শহরের টাওয়ারগুলির আভিজাত্যের তুলনায় এটি নিতান্তই সাধারণ দেখতে। কয়েক দিন আগে এই স্থাপত্যের কাছ দিয়ে যেতে গিয়ে দৃষ্টি আটকে গেল এর বাংলা রূপান্তর দেখে। উজ্জ্বল নীল বর্ণে সুসজ্জিত অক্ষর মালায় লেখা আছে ‘হাওয়াই যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’। ‘হাওয়াই’ শব্দটাতে একটু অস্বস্তি বোধ করলাম। পুরনো বিমান সঞ্চালনা ভবনের একটি যথাযথ নাম আছে ‘বিমান যাতায়াত ভবন’। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হঠাৎ ‘হাওয়াই’ শব্দটি ব্যবহার করা হল কেন? বাংলা-র ‘বিমান’ শব্দটা লিখতে কি কেউ বারণ করেছে?

শুভস্মিত চক্রবর্তী, কলকাতা-৬০

শিক্ষকদের জন্য

বর্তমানে বিদ্যালয়গুলিতে অফিসের কাজ অফলাইনের তুলনায় অনলাইনে বেশি হয়। তা ছাড়া, অফলাইনের পাশাপাশি নানা ক্ষেত্রে অনলাইনেও আবার নতুন করে তথ্য দিতে হচ্ছে। অনলাইনে মিটিংয়ের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে অতিমারির পর থেকে। মিড-ডে মিলের রোজ হিসাবও বর্তমানে অনলাইনেই নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিজস্ব ডেটা খরচ করেই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। এর জন্য আলাদা করে কোনও খরচ দেওয়া হয় না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যখন পড়াশোনার জন্য আলাদা করে ট্যাব দেওয়া হচ্ছে তখন প্রধান শিক্ষকদেরও বিদ্যালয়ের কাজের জন্য ট্যাব দেওয়া যেতে পারে না? এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

অর্পিতা মজুমদার, কলকাতা-১৫৪

ছাউনিহীন

শিয়ালদহ লালগোলা সেকশনে বহরমপুর কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। সমস্ত ডাউন ট্রেন দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ধরতে হয়। আধুনিকীকরণের জন্য দীর্ঘ দিন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সমস্ত শেড খুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন ধরার জন্য আগত যাত্রীদের রোদে বা বৃষ্টিতে আশ্রয় নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। এই ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষের কোনও দৃকপাত নেই। যাত্রীদের সুবিধার জন্য কি সাময়িক ভাবে এখানে কোনও ব্যবস্থা করা যায় না?

গৌতম ভট্টাচার্য,কলকাতা-৪৮

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement