Shalimar

সম্পাদক সমীপেষু: কেন ভুুল পথে চালনা

অনেক কষ্টে গাড়ি ঘোরানো হল। পিছনের গাড়ি, বিশেষ করে অটো চালকদের অনুরোধ করে তাঁদের অটো সরিয়ে রাস্তা বার করে আমাদের বাসটাকে বার করা হল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৬:২৭
picture of roads.

বিদ্যাসাগর সেতু পেরিয়ে পথ-নির্দেশিকা মেনে আমরা গিয়ে পৌঁছই রেলগেটের সামনে। ফাইল চিত্র।

কয়েক মাস আগে ট্রেন ধরার জন্য আমরা ২২ জন প্রবীণ নাগরিক একটি ছোট বাসে শালিমার স্টেশন যাচ্ছিলাম। বিদ্যাসাগর সেতু পেরিয়ে পথ-নির্দেশিকা মেনে আমরা গিয়ে পৌঁছই রেলগেটের সামনে। রেলগেট তখন বন্ধ করা ছিল। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর জানতে পারলাম, এখানে গেট এক বার পড়লে কখন উঠবে, কেউ জানে না। এ দিকে ট্রেনের সময় হয়ে যাচ্ছিল। অনেকেই বললেন যে, এই রাস্তায় কেন এলেন? ব্রিজ দিয়ে আর একটু এগিয়ে পরের রাস্তাটা ধরলে রেলগেটটা এড়িয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু আমরা জানব কী করে? এই রাস্তায় প্রথম এসেছি, পথ-নির্দেশিকা মেনে এসেছি। যদি নির্দেশিকাটা ওখানে না থাকত, তবে আমরা ওই রাস্তায় ঢুকতাম না। যিনি রেলগেটটা চালনা করছিলেন, তিনিও বললেন যে কখন গেট উঠবে তিনিও জানেন না। সিদ্ধান্ত নিলাম গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে পরের রাস্তা ধরব। কিন্তু ঘোরাব কেমন করে? সামনে সঙ্কীর্ণ জায়গা, পিছনে গাড়ির সারি। এমতাবস্থায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেক কষ্টে গাড়ি ঘোরানো হল। পিছনের গাড়ি, বিশেষ করে অটো চালকদের অনুরোধ করে তাঁদের অটো সরিয়ে রাস্তা বার করে আমাদের বাসটাকে বার করা হল।

এখন প্রশ্ন হল, শালিমারের পথ-নির্দেশিকায় যে রাস্তাটা দিয়ে গেলে রেলগেট পার হতে হয়, সেটা কেন রাখা হয়েছে? ওটা যদি না থাকে, তবে ওই রাস্তায় অনেকেই যাবেন না, বিশেষ করে ট্রেন ধরার যাত্রীরা। খবর নিয়ে জানলাম, প্রায় প্রত্যেক দিনই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, শালিমারে আগত রেলযাত্রীদের কথা ভেবে উপযুক্ত ব্যবস্থা করুন।

Advertisement

সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১

সংস্কার দরকার

যেখানে নিউ টাউনের মতো জায়গায় সদ্য চালু হওয়া চিড়িয়াখানাতেই ধুলোময় পরিবেশ, সেখানে আলিপুরদুয়ারে রাজ্য সরকারের বনবিভাগ কর্তৃক ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ইকো পার্কে গিয়ে হতাশাগ্ৰস্ত হওয়াটা কি অস্বাভাবিক? পার্কে পরিবেশগত সৌন্দর্য থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের বেশ অভাব। অধিকাংশ খাঁচাই ভাঙা ও জরাজীর্ণ। গুটিকতক চিতাবাঘের দেখা মিললেও তাদের স্বাস্থ্যের শোচনীয় অবস্থা। খাঁচার ভিতরের কিছুটা প্রশস্ত তৃণভূমিতে অবাধ বিচরণের সুযোগ প্রায় দেওয়া হয় না, পরিবর্তে ভিতরের ছোট জায়গায় বেশির ভাগ সময় বন্দি করে রাখা হয়। এই পার্কের বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন ও উদ্ধার প্রকল্পের সচলতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই, চিতাবাঘগুলোর শারীরিক অবস্থার প্রতি নজর রাখা ও স্থানটির দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অভিষেক ভৌমিক, দাশনগর, হাওড়া

কেন জরিমানা

আয়কর কর্তৃপক্ষ নির্দেশ জারি করেছে যে, ৩১ মার্চ ২০২৩ মধ্যে প্যান কার্ডের সঙ্গে ১০০০ টাকা জরিমানা দিয়ে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ করতে হবে। নচেৎ প্যান কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। গত বছর এই জরিমানা ছিল ৫০০ টাকা। এই নির্দেশের কোনও ব্যাপক প্রচার ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের রায় বলে, আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। অথচ, ব্যাঙ্কগুলিতে কোনও অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে তাদের শর্তাবলিতে একটি শপথ হল ‘আমি স্ব-ইচ্ছায় আধার কার্ড দিচ্ছি’। তা হলে সরকার আধার কার্ড যোগে জরিমানা করতে পারে কি? এ তো আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে ঘুরিয়ে নাক দেখানো। এ দিকে সংযুক্তিকরণ কেন্দ্রগুলিতে তিন-চার দিন ঘুরে আধার যোগ করতে গিয়ে লোকে হয়রান হচ্ছেন। নেট, সার্ভার, লিঙ্ক সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া, আয়কর দফতরের পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা আছে। প্যান শুধু ধনী মানুষদের জন্যে নয়; নিম্ন মধ্যবিত্ত, ছোট ব‍্যবসায়ী— সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এমনিতেই মানুষ এখন নথিসর্বস্ব এবং তা সংগ্রহ ও সংরক্ষণে নাজেহাল। বিভ্রান্তিকর আধার কার্ড যোগে জরিমানার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হোক।

পরেশ মালিক, চন্দনদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

সাধারণের সুরক্ষা

ব্যারাকপুরে থাকি। চাকরি সূত্রে প্রতি দিন এই শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ কলকাতা ও অন্যান্য শহরে ট্রেনে যাতায়াত করেন। স্মরণাতীত কাল থেকে ব্যারাকপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা যেমন ছিল, তেমনই আছে। সাম্প্রতিক কালে এগুলি দীর্ঘায়িত হয়েছে বারো বগির ট্রেন ধরানোর জন্য। বর্তমানে ব্যারাকপুর স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মের আধুনিকীকরণ হলেও প্ল্যাটফর্মগুলির আয়তন বৃদ্ধি করা হয়নি। এক সময়ে অসুবিধা না হলেও বর্তমানে ক্রমবর্ধমান যাত্রীর ভিড়ে প্ল্যাটফর্মগুলির জায়গা যথেষ্ট ছোট মনে হয়। অফিস টাইমে যাত্রী ওঠা-নামার সময়ে প্ল্যাটফর্মে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। তা ছাড়া, বেশ কয়েক বছর ধরে প্ল্যাটফর্মগুলিতে যত্রতত্র স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। ফলে ট্রেনে ওঠা-নামার স্বাচ্ছন্দ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। বেশি অসুবিধা হচ্ছে শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে।

অপর দিকে, স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পিছন দিকে সুকান্ত সদনের পাশ দিয়ে কল্যাণীমুখী বাসরুট ও গঙ্গার ঘাটমুখী রাস্তার চিড়িয়ামোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ভিড় করে অসংখ্য রুটবিহীন টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। ইদানীং এই রাস্তার দু’ধার দিয়ে অসংখ্য রকমারি খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তরাঁ গড়ে উঠেছে। এই সমস্ত দোকানে যে ক্রেতারা খেতে ও পার্সেল নিতে আসেন, তাঁরা রাস্তার দু’ধারে গাড়ি পার্ক করেন। ফলে রাস্তায় সাধারণ যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বিপদসঙ্কুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। রাস্তা হোক বা প্ল্যাটফর্ম, যাত্রী-সুরক্ষা ও নিরাপত্তা কখনওই বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, তাঁরা বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুন।

হারানচন্দ্র মণ্ডল, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

প্রতারণা নয় কি

সম্প্রতি কিছু বিমা কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনে বিমার প্রিমিয়াম উল্লেখ করে নির্দিষ্ট সময়ের পর একটি মোটা অঙ্কের অর্থ ফেরত (রিটার্ন) দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু তারা কখনও প্রিমিয়ামের সঙ্গে যুক্ত জিএসটি বাবদ যে টাকা কেটে নেওয়া হয়, তার উল্লেখ করছে না। সেই অর্থ কিন্তু অনেকটাই নেওয়া হয়। যেমন, একটি বিমার প্রিমিয়াম রাশি বছরে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু উপভোক্তাকে ওই রাশির সঙ্গে প্রথম বছর জিএসটি বাবদ ৯০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। তার পর প্রতি বছর ৪৫০ টাকা অতিরিক্ত। এই ভাবে বিজ্ঞাপনে জিএসটি উল্লেখ না করা প্রতারণার শামিল বলে মনে হয়।

অরূপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি

খুলুক কাউন্টার

বিগত প্রায় এক দশক আগে পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁকরাইল স্টেশনের পূর্ব দিকে, অর্থাৎ চাঁপাতলার দিকে একটিমাত্র টিকিট কাউন্টার ছিল। ফলে ধুলাগড়, রানিহাটি, কান্দুয়া, গঙ্গাধরপুর, দেউলপুর, ফটিকগাছি, গোন্ডলপাড়া, জয়নগর প্রভৃতি অঞ্চলের যাত্রীদের টিকিট কাটতে রেললাইনের ওভারব্রিজ অতিক্রম করে যেতে হত। এতে বয়স্ক মানুষদের খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত। বহু আবেদনের পর ধুলাগড়ের দিকে একটি টিকিট কাউন্টার খোলা হয় প্রায় এক দশক আগে। কিন্তু গত বছর এনআরসি সংক্রান্ত বিক্ষোভের কারণে ভাঙচুর করা হয় সাঁকরাইল স্টেশন-সহ ধুলাগড়ের দিকের টিকিট কাউন্টারটিতেও। সেই থেকে বন্ধ হয়েই পড়ে আছে এটি। অবিলম্বে যাত্রীদের সুবিধার্থে টিকিট কাউন্টারটি খোলা হোক।

শ্রীমন্ত পাঁজা, গঙ্গাধরপুর, হাওড়া

আরও পড়ুন
Advertisement