App Cabs

সম্পাদক সমীপেষু: অসাধু ক্যাব

চালকের এমন পদক্ষেপে এক অর্থে ওই অ্যাপ সংস্থাটিকেই ঠকানো হচ্ছে। এতে সংস্থার ক্ষতি হচ্ছে ও তাদের ব্যবসা কমছে। লোকসান এড়াতে তারা হয়তো আরও ভাড়া বাড়াবে, অনেক বেশি সময় নেবে গাড়ি দিতে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪৫
পরবর্তী সময়ে অ্যাপ ক্যাবের অনেক কিছুই ঢিলেঢালা হয়ে গিয়েছে।

পরবর্তী সময়ে অ্যাপ ক্যাবের অনেক কিছুই ঢিলেঢালা হয়ে গিয়েছে। ফাইল চিত্র।

পরিষেবা নিয়ে নানাবিধ মতভেদ থাকলেও, অ্যাপ ক্যাবগুলি এক সময় কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল জনগণকে। মিটার ট্যাক্সির তুলনায় ভাড়া একটু বেশি হলেও সুবিধার ব্যাপার ছিল মূল সংস্থার নজরদারি, ঘরে বসে প্রত্যাখ্যান-মুক্ত বুকিং, রাস্তায় দৌড়োদৌড়ি ও দরাদরিবিহীন পূর্বনির্ধারিত ভাড়া, অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা ইত্যাদি। যদিও পরবর্তী সময়ে অনেক কিছুই ঢিলেঢালা হয়ে গিয়েছে।

বেশ কিছু দিন ধরে আর একটি নতুন অন্যায়ের প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যা যাত্রী ও মূল সংস্থা উভয়কেই ঠকাচ্ছে। নিয়মিত যাতায়াতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, প্রধানত রেল স্টেশন (হাওড়া, শিয়ালদহ, শালিমার, কলকাতা) থেকে ক্যাব বুক করা ও ট্যাক্সি নম্বর পাওয়ার পর ড্রাইভার ফোন করে জানতে চান, গন্তব্যস্থল কী ও কত ভাড়া বলা হয়েছে। জানার পর বলা হয়, সংশ্লিষ্ট যাত্রী যেন বুকিংটি ক্যানসেল করে দেন এবং গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ড্রাইভারকে ওই ভাড়া নগদ টাকায় দিয়ে দেন। অনেক সময় এঁরা অজুহাত দেন, অ্যাপ সংযোগ কাজ করছে না, তাই এই অনুরোধ। যিনি অ্যাপের মাধ্যমে বুক করেছেন, এই অনৈতিক দাবি মানতে তাঁর প্রাথমিক ভাবে কোনও লোকসান না হলেও, তিনি সতর্ক না থাকলে অ্যাপ ক্যাব সংস্থা পরে তাঁর কাছ থেকেই ক্যানসেল করার টাকা নেয়। এ ছাড়াও, এই ক্যাব-চালকরা বড় স্টেশনে সাধারণ গাড়ির পার্কিংয়ের জায়গায় ক্যাব রেখে অপেক্ষা করেন, এবং মোটা পরিমাণ পার্কিং-এর টাকাও সংশ্লিষ্ট যাত্রীকেই মেটাতে বলেন। সব মিলিয়ে অনেক বেশি অর্থদণ্ড হয় যাত্রীর।

Advertisement

চালকের এমন পদক্ষেপে এক অর্থে ওই অ্যাপ সংস্থাটিকেই ঠকানো হচ্ছে। এতে সংস্থার ক্ষতি হচ্ছে ও তাদের ব্যবসা কমছে। লোকসান এড়াতে তারা হয়তো আরও ভাড়া বাড়াবে, অনেক বেশি সময় নেবে গাড়ি দিতে। বা ভবিষ্যতে ব্যবসাই গুটিয়ে ফেলবে। এতে যাত্রীদেরই ক্ষতি। তাই, এমন অনুরোধের ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়।

পার্থ ঘোষ, কলকাতা-১০

জলাশয় ভরাট

হাজার লেখালিখি সত্ত্বেও জলাশয় বুজে ঝকঝকে বহুতল গড়ে উঠছে প্রতি দিন, প্রতিনিয়ত। বিশেষত, আমার বসতির চার পাশে, হাওড়ার পঞ্চায়েত এলাকাভুক্ত মধ্য ঝোড়হাট, রামচন্দ্রপুর, সাঁকরাইল, আন্দুল অঞ্চলগুলোয় পুকুর বুজিয়ে অসংখ্য বহুতল গড়ে উঠেছে। অনেকগুলি এখনও তৈরি হওয়ার পথে। অন্য দিকে, বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জলাশয় রক্ষার আন্দোলনের চাপে সরস্বতী নদীর ধারে সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি বিজ্ঞপ্তির নীচে জঞ্জাল-আবর্জনার স্তূপ গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞপ্তিতে শাস্তির নিদান থাকলেও আজ পর্যন্ত কাউকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে বলেও শোনা যায়নি। প্রয়োজনমতো ডাস্টবিন যেমন রাখা হয়নি, তেমনই যে সব জায়গায় ডাস্টবিন আছে, সেগুলি নিয়মিত সাফাই করা হয় না। ফলে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। আসলে, আজ পর্যন্ত কোনও সরকারই নদী-জলাশয় রক্ষায় নিজেদের তাগিদ অনুভব করেনি। তাই, এ দায়িত্ব নাগরিককেই নিতে হবে। এক দিকে, নিজেদের সচেতন হতে হবে। আবার, সাধ্যমতো সংগঠিত ভাবে সরকারকে সংরক্ষণে বাধ্য করাতে হবে।

স্বপন কুমার ঘোষ, মধ্য ঝোড়হাট, হাওড়া

পাঠক কই

‘অভাবটা পাঠকের’ (৮-১২) পত্রে উল্লিখিত মতের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। আমরা তিন-চার জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি স্থানীয় ভাবে একটি পাঠাগার পরিচালনা করি। স্বেচ্ছায় শ্রম ও সময় ব্যয় করে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে তীর্থের কাকের মতো পাঠাগারে অপেক্ষা করি পাঠকের আগমনের আশায়। দু’-এক জন আসেন কোনও কোনও দিন, কোনও দিন কেউই আসেন না। তবু স্থানীয় অঞ্চলের একমাত্র পাঠাগারকে বাঁচিয়ে রাখার প্রবল আকাঙ্ক্ষা রয়েছে আমাদের। মানুষের মধ্যে বই পড়ার ইচ্ছে দিন দিন কমছে। অথচ, বইমেলা অর্থিক মাপকাঠিতে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে‌। প্রশ্ন জাগে, যত বই ক্রয় হয়, তা কি পঠিত হয়? রাজ্যে পাঠাগারের দৈন্যদশাটি যতটা না পরিচালনার অভাবে, তার থেকে বেশি পাঠকের অভাবে।

অজিত রায়, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

রেলগেট সমস্যা

2 প্রায় ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি মেমারি শহরটাকে, দু’ভাগে মাঝামাঝি চিরে চলে গিয়েছে হাওড়া-বর্ধমান রেললাইন। সারা দিনে লোকাল ট্রেন, মেলট্রেন, মালগাড়ি অবিরত যাতায়াত করছে। ফলে, অধিকাংশ সময় রেলগেট থাকে বন্ধ। এক বার রেলগেট পড়লে কখনও কখনও ৪০ মিনিট পর্যন্ত আটকে থাকতে হয়। থানা এক দিকে, ফায়ার ব্রিগেড আর এক দিকে, শহরের মূল দু’টি স্কুল দু’দিকে। সারা দিনে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এই রেলগেট দিয়েই। ছাত্ররা স্কুলে যেতে, রোগীরা হাসপাতালে যেতে, বিপন্নরা থানায় যেতে, আগুন লাগলে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অসহায় ভাবে রেলগেটে দাঁড়িয়ে থেকে রেলের যাতায়াত দেখতে হয়। বর্ধমান বা তার সংলগ্ন এলাকার মূল যোগাযোগের আর একটি সূত্র মেমারি শহর। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা তাঁদের দৃষ্টিগোচর হয় না। উদাসীন রেল কর্তৃপক্ষের বিচার বিবেচনার উপরে আর আস্থা নেই জনসাধারণের। তবুও, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের আশায় রইলাম।

তুহিন কুমার যশ, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান

সমান সাম্মানিক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে সমস্ত রান্নার দিদি রান্না করেন, তাঁরা মাসে দেড় হাজার টাকা সাম্মানিক পান। অতগুলো বাচ্চার রান্না করা, হাঁড়ি, কড়াই মাজা, ধোয়া, তাদের খেতে দেওয়া, কে কী নেবে সেটা দেখা এবং দু’-তিন বার দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে প্রচুর কায়িক পরিশ্রম করতে হয়। বর্তমান বাজারে দেড় হাজার টাকায় কী হয়? রান্নার কাজে যাঁরা আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই স্বামী-পরিত্যক্তা বা বিধবা, কিংবা খুব দরিদ্র। এ ছাড়াও পুজো ও গ্রীষ্মের ছুটি— এই দুই মাস তাঁদের কোনও সাম্মানিক প্রদান করা হয় না। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে, অঙ্গনওয়াড়ি রান্নার দিদিদের সমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নার দিদিদের সাম্মানিক দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

মঞ্জুশ্রী মণ্ডল, রামনগর, হুগলি

ব্রাত্য হাওড়া

এ বছর হাওড়া বইমেলা উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কারণ, হাওড়া শহরে নাকি বড় জায়গা নেই! অনেক লড়াই করে হাওড়া বইমেলা হাওড়া শহরে স্থান করেছিল। উলুবেড়িয়ার আশপাশে অনেক বইমেলা হয়। সে ক্ষেত্রে হাওড়া বইমেলা ওখানে কতটা জনপ্রিয় হবে? যানজট, ট্রেন, বাস, সব সামলে কত জন বইপ্রেমী উলুবেড়িয়ায় পৌঁছতে পারবেন? হাওড়াকে ব্রাত্য রাখা হচ্ছে কেন?

পল্টু ভট্টাচার্য , রামরাজাতলা, হাওড়া

বেপরোয়া যান

কেষ্টপুর মিশন বাজার থেকে কেষ্টপুর ভিআইপি পর্যন্ত দিনের পর দিন যে ভাবে গাড়ি যাতায়াত করে, তাতে সাধারণ মানুষকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বেপরোয়া বাইক চালনা, অটো-বাস যেখানে সেখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী নামানোর ফলে প্রাণ হাতে করে সাধারণ মানুষকে চলাফেরা করতে হয় রাস্তায়। প্রশাসনকে অনুরোধ করছি বিষয়টির সমাধানের জন্য।

সুদীপ্ত দে , কলকাতা-১০২

আরও পড়ুন
Advertisement