Narenra Modi

দিল্লি ডায়েরি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের প্রচারে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেল নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন।

Advertisement
প্রেমাংশু চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২ ০৪:২৮
বাহন: দিল্লির রাস্তায় সাইকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, উপহারের সাইকেলে প্রধানমন্ত্রী (ডান দিকে)।

বাহন: দিল্লির রাস্তায় সাইকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, উপহারের সাইকেলে প্রধানমন্ত্রী (ডান দিকে)।

সাইকেলে চড়লে যে এমন বিপদে পড়তে হবে, কে জানত! মোদী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া সাইকেল চড়তে খুবই ভালবাসেন। দিল্লির আবহাওয়া মনোরম থাকলে তিনি সাইকেলে চেপে সংসদেও আসেন। মন্ত্রীদের গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁর সাইকেল দাঁড় করানো থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের প্রচারে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেল নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। সমাজবাদীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, গুজরাতে সন্ত্রাসবাদীরা কেন সাইকেলে বোমা রেখে গিয়েছিল? মনসুখ পড়েছেন মহা বিপদে। তাঁর বন্ধুস্থানীয় বিরোধী দলের সাংসদরা জানতে চাইছেন, তবে মনসুখভাই কি এ বার সাইকেল চড়া বন্ধ করবেন! মনসুখের ঘনিষ্ঠরা আবার বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও তো ওলন্দাজ প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া সাইকেলে চড়েছেন। তা হলে মনসুখের সমস্যা কোথায়!

স্বামী বনাম মোদী

Advertisement

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের জন্ম হয়েছিল ১৮৯৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, ‘লিপ ইয়ার’ ছাড়া তো ২৯ ফেব্রুয়ারি মেলে না। তাই সাধারণত ২৮ ফেব্রুয়ারিই সংসদে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিবস পালিত হয়। এ বার মোরারজির জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে মাত্র তিন জন সাংসদ হাজির ছিলেন। স্পিকার ওম বিড়লা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন আর মোরারজির তৈরি জনতা পার্টির প্রাক্তন নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য। স্বামী খোদ প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, মোরারজি গুজরাতের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী গরহাজির। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতার প্রতি এমন অশ্রদ্ধা! এ বারই প্রথম ও শেষ নয়। স্বামী এখন সুযোগ পেলেই সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করছেন। নিন্দুকেরা বলছেন, আসলে আগামী মাসে স্বামীর রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। সে কারণেই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছেন তিনি।

ব্রিট্টাসের ঠাট্টা

বাজেট নিয়ে রাজ্যসভায় বিতর্ক চলছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বার বারই দাবি করছেন, জিনিসপত্রের দাম লাগামের মধ্যেই রয়েছে। আর খেপে উঠছেন সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম। তিনি বার বার উঠে প্রতিবাদ করছেন। বিরক্ত হয়ে উঠছেন নির্মলা। তিনি বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির সূচক মোটেই বেশি বাড়েনি। বিনয় বিশ্বমও ছাড়ার পাত্র নন। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশও পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল। সিপিএমের সাংসদ জন ব্রিট্টাস উঠে বললেন, বিনয় বিশ্বমের রাগ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ অর্থমন্ত্রী সিপিআই বা কনজ়িউমার প্রাইস ইনডেক্স, অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধির সূচকে লাগাম পরানোর কথা বলছেন। আর বিনয় বিশ্বমের দলের নামও সিপিআই। তাই তিনি চটে যাচ্ছেন। ব্রিট্টাসের রসবোধে বিরক্তি ভুলে হেসে ফেললেন নির্মলা। বিনয়ও শান্ত হলেন।

শোভা: মোগল গার্ডেনে সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতি

শোভা: মোগল গার্ডেনে সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতি

খুলল মোগল গার্ডেন

মোট এগারো রকমের টিউলিপ। লনে ফুলের কার্পেট। ফুলের রঙে এ বছর সাদা, হলুদ, লাল ও কমলার প্রাধান্য। ছোট্ট একটা ক্যাকটাস কর্নার। তারই সঙ্গে বাতাস পরিশুদ্ধ করা গাছের সম্ভারও রয়েছে। শীত গিয়ে বসন্ত আসতেই আবার দরজা খুলেছে রাষ্ট্রপতি ভবনের সুপরিচিত মোগল গার্ডেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আমন্ত্রণে সম্প্রতি মোগল গার্ডেন ঘুরে এলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী শিবমালা ও নাতনি শ্রিয়াও। কিন্ডারগার্টেনের ছাত্রী শ্রিয়া যখন বিশাল মোগল গার্ডেন ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তখন রাষ্ট্রপতি তার হাতে তুলে দিলেন চকলেট বার। ফুলের মতোই হাসি ফুটল শ্রিয়ার মুখে।

বাংলা সিনে উৎসব

দিল্লির বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন-এর বাংলা সিনে উৎসব পনেরোয় পা দিল। দিল্লির গোল মার্কেটের কাছে মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে প্রতি বছর নতুন বাংলা সিনেমা দেখানোর আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন। মোবাইলে সিনেমা দেখা, ওটিটি-র যুগেও দিল্লির বাঙালিরা বড় পর্দায় ছবি দেখতে ভিড় জমান। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগ হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। সঙ্গে তথ্যচিত্র। সিনেমা নিয়ে আড্ডা দিতে কলকাতা থেকে উড়ে আসেন টলিউডের শিল্পীরা। ১১ থেকে ১৩ মার্চ তিন দিনের সিনে উৎসবে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে থাকবেন পাওলি দাম।

আরও পড়ুন
Advertisement