Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: পুরনো বন্ধু, তাই পাশে দাঁড়ালেন পওয়ার?

তৃণমূল বাদে প্রায় সব বিরোধী দলই যখন আদানি-কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় তদন্তের দাবিতে অনড়, তখন তাতে আপত্তি করেছেন শরদ পওয়ার।

Advertisement
অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী,  অনমিত্র সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:০৬
A Photograph of Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।

তৃণমূল বাদে প্রায় সব বিরোধী দলই যখন আদানি-কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় তদন্তের দাবিতে অনড়, তখন তাতে আপত্তি করেছেন শরদ পওয়ার। আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা, কারচুপির অভিযোগ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পওয়ারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির পুরনো ঘনিষ্ঠতা রাজনৈতিক মহলে অনেকেরই জানা। তবে অনেকেই জানেন না, পওয়ার বছর আটেক আগে তাঁর মরাঠিতে লেখা রাজনৈতিক আত্মজীবনীতেও গৌতম আদানির কথা লিখেছিলেন। লোক মাঝে সাঙ্গাতি (মানুষই আমার সঙ্গী) নামক সেই বইতে পওয়ার লিখেছিলেন, গৌতম আদানি প্রথম জীবনে মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে সাধারণ সেলসম্যান ছিলেন। তার পরে ছোট ব্যবসা থেকে হিরের কারবারে চলে যান। কিন্তু মন ভরছিল না। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী চিমনভাই পটেলের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে মুন্দ্রা বন্দর ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেন। এর পর পওয়ারই তাঁকে তাপবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নির পরামর্শ দিয়েছিলেন।

প্রথম দেখা

Advertisement

ছোট্ট কাত্যায়নীর জন্য উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। প্রথম বার মুখ দেখছেন। খালি হাতে গেলে চলে? বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে এসেছিলেন বিরোধী ঐক্য নিয়ে বৈঠক করতে। তারই ফাঁকে তেজস্বী যাদবের শিশুকন্যাকে দেখে এলেন। কোলে নিয়ে দোল খাওয়ালেন লালুপ্রসাদ যাদবের নাতনিকে। চৈত্র নবরাত্রিতে জন্ম বলে লালুপ্রসাদই নাতনির নাম কাত্যায়নী রেখেছেন।

ফাইল ছবি।

বরফ ভাঙতে বলিউড

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তানি হামলার পর চাণক্যপুরীতেও নিরাপত্তা কমিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে শঠে শাঠ্যং সেরেছে নয়াদিল্লি। স্নায়ু টানটান এই পরিবেশে কিছুটা হালকা বাতাস বইয়ে দিলেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস। হিন্দি ভাষা রপ্ত করার জন্য কিছু হিন্দি ছবি দেখবেন, তাই তিনি টুইট করে সুপারিশ চান নেটিজ়েনদের কাছে। তার পর সেই ছবিগুলির একটি তালিকা দেন, যার গোড়াতেই রয়েছে ‘চোলে’! আসলে উচ্চারণ বিপর্যয়ের কারণে এই অপভ্রংশ রমেশ সিপ্পির ব্লকব্লাস্টার শোলে-র! দুই এবং তিন নম্বরে তিনি রেখেছেন চুপকে চুপকে এবং গ্যাংস অব ওয়াসেপুর। তাঁর ‘চোলে’ নিয়ে শুরু হয়ে যায় মশকরার ঢেউ। এক ব্যক্তি রিটুইট করে পরামর্শ দেন ‘ভাতুরে’ দিয়ে সেই ‘চোলে’ দেখতে (খেতে)! ওয়াসেপুর সম্পর্কে তিনি মজা করে লেখেন, হিংসা পছন্দ না করলেও ছবিটি তিনি দেখতে চান, যাতে ক্রিকেটের প্রতিপক্ষকে (ভারত) ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে’ কিছু বলতে পারেন হিন্দিতে। এখানেই না থেমে সুরসিক অ্যালেক্স এলিসের বক্তব্য, “আমি লগান দেখেছি— তাই আমি প্রতি দিন আমার সহকর্মীদের বলি, ‘দুগনা লগান দেনা পড়েগা!’” দিল্লিতে গুঞ্জন, সম্পর্কের সাম্প্রতিক মেঘ কাটাতেই তাঁর এই রসিকতা।

ফাইল ছবি।

কোনও প্রশ্ন নয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া কর্নাটক নির্বাচনের দায়িত্বে। এ দিকে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে করোনা প্রসঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় বসেছিলেন মনসুখ। করোনা নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন রয়েছে কি না, জানতে চাইছিলেন। উৎসাহের সঙ্গে জবাব দিচ্ছিলেন সে সবের। ছবিটি পাল্টে যায় কর্নাটক নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই। আগের রাতেই বেরিয়েছে প্রথম প্রার্থী-তালিকা। ঘনিষ্ঠরা জায়গা না পাওয়ায় রাগে ফুঁসছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এ নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই, সোজা নিজের ঘরের দিকে হাঁটা দিলেন মনসুখ। তখনও দ্বিতীয় তালিকা আসা বাকি। তাই জানেন, মুখ খুললেই বিপদ বাড়বে! অতএব, মৌনব্রত।

আপনি আচরি ধর্ম

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নিজে ল্যাপটপ নিয়ে এজলাসে বসেন। সঙ্গের বিচারপতিদেরও কাগজের ফাইল নাড়াচাড়ার বদলে ল্যাপটপ বা আইপ্যাড ব্যবহারে উৎসাহ দেন। এক মামলার শুনানির সময় প্রবীণ আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়াকে বললেন, এ বার আপনিও আইপ্যাড নিয়ে কাজ শুরু করুন। পাটওয়ালিয়া ঘাড় নাড়লেন। এ বার প্রধান বিচারপতির চোখ গেল আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণনের দিকে। বয়সে তরুণ হলেও গোপাল ‘সিনিয়র অ্যাডভোকেট’। গোপাল বললেন, তিনি বাড়ির তিন খুদে সদস্যকে মোবাইল-আইপ্যাড ব্যবহার করতে মানা করেন। তার পরে নিজেই সারা ক্ষণ কোন মুখে আইপ্যাড হাতে বসে থাকবেন!

আরও পড়ুন
Advertisement