Celebrity MP

দিল্লি ডায়েরি: সংসদে ‘ঘায়েল’ সানি, ‘খামোশ’ হলেন শত্রুঘ্ন

খ্যাতনামাদের মধ্যে বিজেপি, তৃণমূল, বিজেডির সাংসদেরাও রয়েছেন। দলীয় অনুশাসনের কারণে সম্ভবত গেরুয়া শিবিরের সাংসদদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

Advertisement
অনমিত্র সেনগুপ্ত, অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪২

খ্যাতনামা ব্যক্তিদের কি সাংসদ হওয়া উচিত? গত পাঁচ বছরে সংসদে তাঁদের স্বল্প অনুপস্থিতি, বিতর্কে যোগ না দেওয়া, প্রশ্ন না করার মতো বিষয়গুলি ফের বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলেছে। গত লোকসভার ১৯ জন ‘সেলেব্রিটি’ সাংসদের কাজের খতিয়ান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সার্বিক ভাবে সাংসদদের উপস্থিতি যখন ৭৯%, তখন খ্যাতনামাদের উপস্থিতি মাত্র ৫৬%। খ্যাতনামাদের মধ্যে বিজেপি, তৃণমূল, বিজেডির সাংসদেরাও রয়েছেন। দলীয় অনুশাসনের কারণে সম্ভবত গেরুয়া শিবিরের সাংসদদের উপস্থিতি ছিল বেশি। বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় যেখানে লোকসভায় ৮৮% অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন, সেখানে তৃণমূলের দেবের উপস্থিতি ছিল মাত্র ১২%। বিজেপিতেও ব্যতিক্রম রয়েছে। অজয় সিংহ (সানি) দেওলের উপস্থিতি মাত্র ১৭%। তিনি ও তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিন্‌হা গত লোকসভায় একটিও আলোচনায় বক্তব্য রাখেননি। প্রশ্ন করার প্রশ্নে খাতাই খুলতে পারেননি শত্রুঘ্ন। সানি অবশ্য চারটি প্রশ্ন করেছেন। দেব করেছেন ১০৬টি প্রশ্ন।

Advertisement

এখন সবই অতীত

গত মন্ত্রিসভার অনেকেই এ বার লোকসভায় হেরে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। অনেকে নির্বাচনে জিতেও মন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে পারেননি। সেই মতো পাল্টে গিয়েছে নেতাদের সমাজমাধ্যমের স্টেটাসও। স্মৃতি ইরানি অমেঠী থেকে নির্বাচনে হেরেছেন, হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব। আপাতত এক্স সমাজমাধ্যমে তিনি কেবল এক জন বিজেপি কার্যকর্তা। অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনে জিতেও মন্ত্রিত্ব পাননি অনুরাগ ঠাকুর। এক্স-এ এখন তাঁর পরিচয় কেবল পঞ্চম বারের সাংসদ এবং ভারত সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজাপুর কেন্দ্র থেকে সাত বার টানা জিতেও মন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়েনি কর্নাটকের সাংসদ রমেশ জিগাজিনাগির। দক্ষিণের একমাত্র দলিত বিজেপি সাংসদ তিনি। তবুও, তাঁকে মন্ত্রী পদের জন্য বেছে না নেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন তিনি। দলের প্রতি ক্ষোভে এই বিজেপি নেতা সমাজমাধ্যমে নিজের পরিচয় দিয়ে রেখেছেন কেবল বিজাপুরের সাংসদ হিসাবে। দলের নামগন্ধ নেই সেখানে।

আচরণেই পরিচয়

ঘন ঘন চায়ের আড্ডা বসিয়ে কাজে ফাঁকি দেওয়া চলবে না! রীতিমতো সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মীদের এই চা-আড্ডা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকে। অফিসের নিয়মশৃঙ্খলা এবং পোশাকবিধি নিয়েও আর একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে ওই মন্ত্রকে। শুধুমাত্র স্থায়ী চাকুরেদের জন্যই নয়, যাঁরা বাইরে থেকে চুক্তিতে স্বল্পমেয়াদি কাজের জন্য এসেছেন, নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে তাঁদের জন্যও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “দেখা যাচ্ছে অনেক কর্মীই ঘন ঘন দীর্ঘ চায়ের বিরতি নিচ্ছেন, অফিস ভবনের বাইরেও দল বেঁধে চলে যাচ্ছেন। এই ধরনের বিষয় অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।” বলা হয়েছে, অফিসার এবং সব পর্যায়ের কর্মীকে করিডর এবং লিফ্‌ট-এ ভব্য এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করতে হবে। সিনিয়র অফিসারদের সম্মান করতে হবে, তাঁদের যাতায়াতের সময় জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। কেন বিজ্ঞপ্তিটি জারি করতে হল, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি মন্ত্রক!

ম্যাজিক সাবান

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এর ৯৬তম ভিত্তি দিবস উপলক্ষে একটি সম্মেলনে ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাজির ছিলেন। বক্তৃতার জন্য সবচেয়ে বেশি হাততালি কুড়োলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী এস পি সিংহ বাঘেল। প্রশংসা পাওয়ার পর বাঘেল স্মৃতিচারণায় জানালেন, ছোটবেলায় তাঁর মাইকভীতি ছিল। ন’বছর বয়সে এক শিক্ষক জেলাভিত্তিক অন্ত্যাক্ষরী প্রতিযোগিতায় তাঁর নাম দিয়ে দেন। প্রতিযোগিতা জেতায় শিক্ষক তাঁকে দেন একটি সুগন্ধি সাবান। বাঘেল জানাচ্ছেন, “সাবানটির সুগন্ধ এখনও আমার মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। ওই গন্ধটিই ম্যাজিকের কাজ করে। পরবর্তী জীবনে আমার মাইকভীতি সে চিরতরে দূর করে দিয়েছিল।”

আলমারির নিলাম

সুপ্রিম কোর্টের গ্রন্থাগারের বইয়ের প্রাচীন আলমারিগুলি নিলামে বিক্রি হচ্ছে। জোধপুরের একটি আসবাবের দোকানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনার পর থেকেই সুপ্রিম কোর্টের সংস্কারের কাজ চলছে। ডিজিটাল পরিকাঠামো নির্মাণের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারই জেরে সাত ফুট লম্বা, ছয় ফুট চওড়া আলমারিগুলিকে নিলাম করার সিদ্ধান্ত। মেরামতির পর আলমারিগুলির প্রতিটির ন্যূনতম দাম রাখা হয়েছে এক লাখ টাকা।

,

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement